অবশেষে ডার্বি জট কাটলো। ১০ তারিখ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই রাত ৮.৩০ মিনিটে যুবভারতীতেই আইএসএলের ডার্বি। মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল কর্তারা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল।
এতো রাতে খেলার পর বাড়ি ফিরবেন কিভাবে দর্শকরা? পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তর অতিরিক্ত বাস পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে গড়িয়া, বিধাননগর, শিয়ালদহ, বারাসাত, হাওড়া সহ বিভিন্ন জায়গার বাস ম্যাচ শেষে দর্শকদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।
সোমবার প্রথমে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা পুলিশ আর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক করেন যে ডার্বি আগামী ১০ মার্চই হবে। তবে সেটা রাত ৯ টায়। অতিরিক্ত বাস আর মেট্রো দেওয়া হবে সেটাও ঠিক হয়। কিন্তু আয়োজক এফএসডিএল কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানিয়ে দেয় রাত ৯ টায় টিভির স্লট পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সেখানে ইস্টবেঙ্গল অনুরোধ করে যে রাত ৮.৩০ মিনিটে ডার্বি আয়োজন করতে। অবশেষে তা মেনে নেয় পুলিশ।
আগে থেকে ১০ মার্চ ডার্বির দিন ঘোষণা হলেও সেদিনই তৃণমূল হঠাৎ করে ব্রিগেড সমাবেশ ডাকে। ফলে প্রশাসন পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী দিতে না পারার কথা জানিয়ে দেয়। অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রায় ২ দিনের বৈঠকের পর সেই জট কাটলো।
কলকাতা ডার্বি নিয়ে চলতি মরশুমে সমস্যা চলছিলই। প্রথম পর্বের ডার্বি পিছিয়ে যায় লক্ষ্মীপুজোর জন্য। এরপর দ্বিতীয় পর্বেই দুটো ডার্বির ঘোষণা হয়। প্রথম ডার্বি ফেব্রুয়ারী মাসে হয়। ২-২ ব্যবধানে ড্র হয় সেই ম্যাচ।
৬ তারিখের ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল সরাসরি ডার্বি খেলবে। গোয়া থেকে ফেরার পর লাল হলুদ পর্যাপ্ত সময় পাবে। অন্যদিকে মোহনবাগান ১ মার্চের পর ১০ মার্চ খেলতে নামবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন