স্প্যানিশ লা লিগায় ফের হোঁচট খেলো রিয়াল মাদ্রিদ। এবার ধাক্কা এলো ঐতিহ্যের লড়াইয়ে। নিজেদের ঘরের মাঠে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। দশ জনের অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে পয়েন্ট খুইয়ে শিরোপা জয়ের লড়াইয়েও বার্সেলোনার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লো আনচেলত্তি ব্রিগেড।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধে এদিন দুই দলই বিশেষ কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে সিমিওনের অ্যাটলেটিকো বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করে। ৪৬ মিনিটের মাথায় পাবলো ব্যারিওসকে তুলে নিয়ে অ্যাঞ্জেল কোরেয়াকে নামান সিমিওনে। কোরেয়ার অবশ্য বেশিক্ষণ মাঠে থাকা হয়নি। ৬৪ মিনিটে রুডিগারকে এক হাতে ধাক্কা দেওয়ার জন্য তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখায় রেফারি।
দশ জনের অ্যাটলেটিকো চাপে পড়লেও আক্রমণ জারি রেখেছিল। এরকম এক আক্রমণ থেকে ৭৮ মিনিটে ফ্রিকিক পায় তারা। গ্রিজমানের নেওয়া সেই ফ্রিকিকে দুর্দান্ত একটি হেড করে দলকে এগিয়ে নেন জোসে মারিয়া গিমেনেজ। পিছিয়ে পড়া রিয়াল এরপর সমতা ফিরে পাওয়ার জন্য ঝাঁপায়। ৮৫ মিনিটে মড্রিচের কর্নার থেকে বদলি হিসেবে নামা তরুণ স্ট্রাইকার আলভারো রদ্রিগেজের হেডে সমতা ফেরায় রিয়াল। ১-১ গোলে অমিমাংসীত ভাবেই শেষ হয় মাদ্রিদ ডার্বি।
অ্যাটলেটিকোর এই এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকার কথা। কিন্তু বেনজেমা-ভিনিসিয়াসদের জন্য এক বড় ধাক্কা। টেবিল টপার বার্সেলোনার থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলেও সাত পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো তারা। ২৩ ম্যাচের শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ৫২। ২২ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৫৭। ২৩ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রিয়াল সোসিদিয়েদ এবং ২৩ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে অ্যাটলেটিকো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন