সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে 'মানসিক হয়রানি' -এর কথা উল্লেখ করেছিলেন লভলিনা বরগোঁহাই। ভারতের হয়ে অলিম্পিক্স পদক জয়ী বক্সার অভিযোগ তুলেছিলেন, যে কোচ তাঁকে অলিম্পিকে পদক জিততে সাহায্য করেছিলেন, তাঁকে বারবার বাধা দিয়ে ট্রেনিং আটকে দেওয়া হচ্ছে। যাদের মধ্যে একজন হলেন দ্রোণাচার্য পুরস্কার জয়ী সন্ধ্যা গুরুং। যিনি গেমস ভিলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। লভলিনার এই বিস্ফোরক অভিযোগের পরের দিনই অনুমতিপত্র বা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেলেন সন্ধ্যা গুরুং।
আয়ারল্যান্ডে একটি প্রশিক্ষণের পর রবিবার রাতে বার্মিংহ্যামে গেমস ভিলেজে পৌঁছায় ভারতের বক্সিং স্কোয়াড। তবে লভলিনার ব্যক্তিগত কোচ সন্ধ্যা গুরুং-এর অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড না থাকায় তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। যেক কারণে মানসিক ভাবে হয়রানির শিকার হন অসমের অলিম্পিক্স পদক জয়ী বক্সার।
লভলিনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের পরেই কাজ শুরু করে ক্রীড়ামন্ত্রক। জাতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে দ্রুত লভলিনার কোচের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো মঙ্গলবার অনুমতিপত্র পেয়ে যান সন্ধ্যা গুরুং। লভলিনার অভিযোগের তীর ছিলো বক্সিং ফেডারেশনের দিকে। বক্সিং ফেডারেশন জানায়, গেমস ভিলেজে অ্যাথলিটদের সংখ্যার ৩৩ শতাংশ স্টাফকেই থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সমস্ত বাধ্যবাধকতার জন্যই হয়তো এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ইস্তাম্বুলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের আগে একই ধরণের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন লভলিনা। যে কারণে তিনি ভালো ফল করতে পারেননি। এবার বার্মিংহ্যামেও একই পরিস্থিতি দেখে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন একইরকম কিছু ঘটবে। তবে অবশেষে কোচকে গেমস ভিলেজে পেয়েছেন লভলিনা। তাঁর হাত ধরে পদক জয়ের আশায় থাকবে দেশবাসী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন