মানকাডিং এখন ক্রিকেটীয় স্পিরিট বিরোধী নয়, জানালো এমসিসি - মানতে নারাজ স্টুয়ার্ট ব্রড

ব্রড নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, " মানকাডিং তো সবসময়ই বৈধ ছিল এবং এটা উচিত বা অনুচিত, সেটা ব্যক্তিবিশেষের ওপর কি নির্ভরশীল নয়? আমি এটাকে অন্যায্য বলেই মনে করি এবং এমনটা করব না।
স্টুয়ার্ট ব্রড
স্টুয়ার্ট ব্রডছবি - সংগৃহীত
Published on

মানকাডিং-এ আউট গণ্য করা হলেও তাকে ক্রিকেটীয় স্পিরিট বিরোধী বলে মনে করা হতো। এবার সেই মানকাডিং-কেই সাধারণ রান আউটের তকমা দিচ্ছে এমসিসি। মানকাডিংকে ল-৩৮ এরই অন্তর্ভুক্ত করছে মারিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব।

মানকাডিং অফিসিয়ালি এখন আর স্পিরিট বিরোধী আউট থাকছে না। ১৯৪৮ সালে ইন্ডিয়ান লিজেন্ড ভিনু মানকাড়ে অস্ট্রেলিয়ান উইকেট কিপার বিল ব্রাউনকে নন স্ট্রাইকার এন্ডে আউট করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া এই ঘটনাকে 'মানকাডিং' বলে উল্লেখ করে।

আইপিএলে ২০১৯ সালে এই পদ্ধতিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আউট করেছিলেন জস বাটলারকে। এরপর এই আউটকে ক্রিকেট স্পিরিট বিরোধী বলে চর্চা শুরু হয়। তবে এমসিসি এবার ল-৪১ থেকে এই আউটকে ল-৩৮ এর অন্তর্ভুক্ত করছে। অর্থাৎ মানকাডিং আর ক্রিকেটীয় স্পিরিট বিরোধী থাকছে না। আর পাঁচটা সাধারণ রান আউটের মতোই এটিকেও গণ্য করা হবে।

এমসিসির এই নিয়ম অবশ্য মেনে নিতে পারছেন না ইংলিশ তারকা পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ব্রড নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, " মানকাডিং আর আনফেয়ার নয় এবং সম্পূর্ণভাবে আউট করার এক বৈধ প্রক্রিয়া। তবে সেটা তো সবসময়ই বৈধ ছিল এবং এটা উচিত বা অনুচিত, সেটা ব্যক্তিবিশেষের ওপর কি নির্ভরশীল নয়? আমি এটাকে অন্যায্য বলেই মনে করি এবং এমনটা করব না। কারণ আমার মনে হয়, ব্যাটারদের নিজের দক্ষতা দিয়ে আউট করা উচিত এবং মানকাডিংয়ে কোনোরকম কোনো দক্ষতার প্রয়োজনই হয় না।"

স্টুয়ার্ট ব্রড
S Sreesanth: পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য অবশেষে অবসরের সিদ্ধান্ত শ্রীসন্থের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in