১ বছর পরে মাঠে নেমেই অসাধারণ কামব্যাক মহম্মদ শামির। প্রথম দিন ১০ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি শামি। তবে দ্বিতীয় দিনে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। বর্তমানে ১২০ রানের লিড রয়েছে বাংলার।
দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামি। এনসিএ-র ছাড়পত্র পেয়েই বাংলা দলের হয়ে রঞ্জিতে নামেন শামি। প্রথম দিনে ১০ ওভার বল করলেও কোনও উইকেট পাননি তিনি।
দ্বিতীয় দিনে মধ্যপ্রদেশ দলের ১২৩ রানের মাথায় শুভম শর্মা বোল্ড হয়ে যান শামির বলে। এরপর সারাংশ জৈন, কুমার কার্তিকেয় এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়া শামির বলে আউট হন। মোট ১৯ ওভার বল করে ৪টি মেডেন ওভার নিয়ে ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন শামি। রান দিয়েছেন মাত্র ৫৪। মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৬৭ রানে। শামি ছাড়া বাংলার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সুরজ সিন্ধু এবং মহম্মদ কাইফ। ১টি উইকেট পান শাহবাজ আহমেদ। শামির এই পারফরমেন্স বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের শেষ দুটো টেস্টে তাঁর দলে ফেরার জায়গা অনেকটাই মজবুত করল।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে আর মাঠে নামেননি শামি। হাঁটুর চোটে জর্জরিত ছিলেন। এরপর এনসিএতে রিহ্যাব করেন। আইপিএল থেকে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড সিরিজেও মাঠে নামতে পারেননি।
অন্যদিকে বাংলার প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরে বোলাররা কামব্যাক করালেন। পরের রাউন্ডে যেতে গেলে এই ম্যাচ থেকে বাংলার ৬ পয়েন্ট দরকার। ঘরের মাঠে বৃষ্টির জন্য বিহার আর কেরালা ম্যাচে নষ্ট হওয়ায় চাপে বাংলা। যদিও উত্তরপ্রদেশ আর কর্ণাটক থেকে বাংলা ৩ পয়েন্ট পেয়েছে। তবে এই ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া টিম বেঙ্গল। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭০ রান করেছে। ২৩১ রানের লিড রয়েছে ঋদ্ধিমান সাহাদের। সুদীপ ঘরামি এবং সুদীপ চ্যাটার্জি দু'জনেই ৪০ রান করে আউট হয়েছেন। ১৯ রানে ফিরেছেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। ঋত্বিক চ্যাটার্জি ৩৩ রানে এবং ঋদ্ধিমান সাহা ২১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন