একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০২৩ অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন মহম্মদ শামি। আগামী ৯ জানুয়ারি ভারতীয় পেসারকে সেই সম্মানে সম্মানিত করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ছাড়াও আরও ২৫ জন ক্রীড়াবিদকে দেওয়া হবে এই জাতীয় সম্মান।
২০২৩ সালের অর্জুন পুরস্কারের মনোনয়নের তালিকায় প্রথমে নাম ছিল না মহম্মদ শামির। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কাছে আবেদন করে, শামির নাম যেন নথিভুক্ত করা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দেয় ক্রীড়া মন্ত্রকও। ক্রিকেট বিভাগ থেকে এই বছর একমাত্র শামিই অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন।
বিগত ১০ বছরে অর্জুন পুরস্কার প্রাপক ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার প্রথমেই আছেন বিরাট কোহলি। ২০১৩ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন কোহলি। ২০১৪ সালে পেয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০১৫ সালে এই সম্মান অর্জন করেছিলেন রোহিত শর্মা। ২০১৬ সালে অজিঙ্কা রাহানে, ২০১৭ সালে চেতেশ্বর পূজারা এবং মহিলা হরমনপ্রীত কৌর। ২০১৮ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন স্মৃতি মন্ধানা। ২০১৯ সালে রবীন্দ্র জাদেজা এবং পুনম যাদব। ২০২০ সালে দীপ্তি শর্মা ও ইশান্ত শর্মা। ২০২১ সালে অর্জুন পুরস্কার জিতেছিলেন শিখর ধাওয়ান।
শামি ছাড়াও আরও ২৫ জনকে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে আগামী বছর। তাঁরা বিভিন্ন ক্রীরাক্ষেত্র থেকে রয়েছেন। ওজাস রপবীন ডিওটেল (তিরন্দাজী)। অদিতি গোপীচান্দ স্বামী (তিরন্দাজী)। শ্রীশংকর এম (অ্যাথলেটিক্স)। পারুল চৌধুরী (অ্যাথলেটিক্স)। মহম্মদ হুসামমুদ্দিন (বক্সিং)। আর বৈশালী (দাবা)। অনুশ আগারওয়াল (ইক্যুইস্ট্রেন)। দিব্যাকৃতী সিং (ইক্যুইস্ট্রেন ড্রেসেজ)। দীক্ষা ডগর (গলফ)। কৃষ্ণবাহাদুর পাঠক (হকি)। সুশীলা চানু (হকি)। পবন কুমার (কবাডি)। রীতু নেগি (কবাডি)। নাসরিন (খো-খো)। পিঙ্কি (লন বলস)। ঐশ্বরী প্রতাপ সিং তোমার (শ্যুটিং)। এশা সিং (শ্যুটিং)। হরিন্দার পাল সিং সান্ধু (স্কোয়াশ)। আহিকা মুখার্জি (টেবিল টেনিস)। সুনীল কুমার (কুস্তি)। অন্তিম (কুস্তি)। নরেন রশিবিনা দেবী (উশু)। শীতল দেবী (প্যারা আর্চারি)। ইল্লুরি অজয় কুমার রেড্ডি (ব্লাইন্ড ক্রিকেট) এবং প্রাচী যাদব (প্যারা ক্যানোয়িং)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন