মোহনবাগানে হাবাসের প্রথম ইনিংসে একগুছ অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দলগঠনে কারোর হস্তক্ষেপ পছন্দ করতেন না তিনি। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে হাবাস যেন অনেকটাই বদলে গেছেন। একগুঁয়ে ভাব আর নেই, অনেক খোলামেলা এখন তিনি।
শনিবার কলকাতা ডার্বিতে দেখা যেতে পারে মনবীর সিং, দীপক টাংরি, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো, শুভাশিস বসু ও বিশাল কাইতের মতো ভারতীয় দলে খেলতে যাওয়া ফুটবলারদের। তবে আশিক কুরুনিয়ানের চোট এখনও সারেনি। সাহাল আব্দুল সামাদ অনুশীলন শুরু করলেও ডার্বি খেলতে পারবেন কি না স্পষ্ট নয়।
ডার্বিতে নামার আগে হাবাস বলেন, "আমি কোনওদিন ডার্বি হারিনি। আমি ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাস জানি। ডার্বির গুরুত্ব বুঝি। ৯০ মিনিট সমর্থকদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি। ডার্বি জেতার জন্যই নামব। এটা আমার আর কুয়াদ্রাতের ডার্বি নয়, খেলাটা মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে।"
চলতি মরশুমের আগে টানা আট ডার্বি জেতে মোহনবাগান। তারমধ্যে রয়েছে হাবাসের তিনটে ডার্বি জয়। সেই প্রসঙ্গে হাবাস বলেন, "ডার্বিতে কোনও দলই ফেভারিট নয়। কাউকে এগিয়ে রাখা যায় না। ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপ জিতে ছন্দে আছে। ওদের কোচ ভালো। তবে ভুললে চলবে না আমাদের সাতজন ফুটবলার জাতীয় শিবিরে ছিল। কয়েকজনের চোট ছিল। যদিও আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। মরশুমের মাঝ পথ থেকে দায়িত্ব নিলে কিছু সমস্যা অবশ্যই হয়। তবে আমি নিজের ফুটবল স্টাইলের সঙ্গে দলকে রপ্ত করার চেষ্টা করছি"।
এদিকে দুই দলের মধ্যে শুভাশিস বোসই সবথেকে বেশি ডার্বি খেলেছেন। তিনিই আবার মোহনবাগান অধিনায়ক। শুভাশিস ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে জানান, 'আমাদের কাছে ৩ পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলের সব ফুটবলারই জানেন ডার্বির মাহাত্ম্য কী। আমি দলের সকলকে বলেছি যে ডার্বি ম্যাচ কতটা মোটিভেট করতে পারবে আইএসএল-এর শীর্ষ যাওয়ার জন্য। সবাই জানে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ঐতিহ্য। বিদেশিরাও ইতিমধ্যে ডার্বি খেলেছে তারা জানে ডার্বির গুরুত্ব। ডার্বি জেতাই আমাদের লক্ষ্য"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন