বেনজির ঘটনা বাংলা ফুটবলে, তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে কলকাতার ৩ প্রধান! বাদ যাননি IFA সচিবও

People's Reporter: মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে'র হয়ে বলেন, নৈহাটিতে যতবারই মোহনবাগন খেলতে গিয়েছে ততবারই প্রচুর সাহায্য পেয়েছি। উনি একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকও বটে।
শাসকের হয়ে প্রচারে কলকাতার ৩ প্রধান!
শাসকের হয়ে প্রচারে কলকাতার ৩ প্রধান!গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

বেনজির ঘটনা ঘটলো বাংলার ফুটবলে। তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে কার্যত প্রচার করলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান কর্তারা। তালিকা থেকে বাদ যাননি আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও। যদিও তাঁরা কেউই এটিকে রাজনৈতিক প্রচার হিসেবে দেখতে নারাজ।

একদিকে যখন ৩ প্রধানের সমর্থকরা এক হয়ে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাইছেন ঠিক তখনই আসন্ন নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে'র হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিতে দেখা গেল মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং মহামেডান স্পোর্টিং কর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিনকে।

নৈহাটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ হলেই দেখা যায় পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ সনৎকে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফেসবুকে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে'র হয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। যেখানে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, "সব ক্ষেত্রেই সনৎ একজন দক্ষ সংগঠক। আমরা যখন যেভাবে ওর কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছি তা পেয়েছি। প্র্যাকটিস থেকে ম্যাচ, সবক্ষেত্রেই পেয়েছি"।

মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, "নৈহাটিতে যতবারই মোহনবাগন খেলতে গিয়েছে ততবারই প্রচুর সাহায্য পেয়েছি। উনি একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকও বটে। যেভাবে উনি নৈহাটি স্টেডিয়ামকে ঠিক রেখেছেন তা রীতিমতো দেখবার।"

মহামেডান কর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিন বলেন, 'গতবার নৈহাটিতে আই লিগে ম্যাচের সময়ে অনেক সাহায্য করেছিলেন। আমাদের ক্লাবের জন্য উনি অনেক সাহায্য করেন।'

শুধুমাত্র ৩ প্রধানের কর্তাই নন, তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে কথা বলেছেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। তিনি বলেন 'উনি একজন দুর্দান্ত কাজের মানুষ। ওনার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।'

এরপরই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন পদে থেকে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করলেন আইএফএ সচিব? এ বিষয়ে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত পিপলস রিপোর্টারকে বলেন, 'আপনি পার্টি দেখছেন কেনো! আমি ব্যক্তি সনৎ দের কথা বলছি। সত্যিই তো কাজের মানুষ। বাংলার ফুটবলের কথা ভাবে। এমন মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে বাংলা ফুটবলের লাভ। সে যেই দলেরই হোক না কেনো।'

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে ৩ প্রধানের সমর্থকরা যখন পথে নেমেছিলেন এবং পুলিশের হাতে আহত হয়েছিলেন, তখন ৩ প্রধানের কর্তারা বা আইএফএ সমর্থকদের পাশে দাঁড়ায়নি।

এই বিষয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি পিপলস রিপোর্টারকে বলেন, 'আইএফএকে এরা কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে? বাংলা ফুটবলের জন্য নিন্দার বিষয়। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করছে! এই বিষয় আমি আগে দেখিনি। দুর্ভাগ্যজনক'।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in