কল্যাণীতে মিনি ডার্বি ড্র করেও ক্যালকাটা ফুটবল লিগের সুপার সিক্সে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। মহামেডানের সাথে ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র করলো সবুজ-মেরুন। যার ফলে কালীঘাট এমএসের সঙ্গে গোল পার্থক্যর বিচারে সুপার সিক্সে উঠলো তারা।
বৃহস্পতিবার মোহনবাগানকে প্রথমদিকে একদমই ভালো খেলতে দেখা যায়নি। বলা ভালো মহামেডান একাধিক গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ম্যাচ ড্র হয়েছে। ম্যাচের ১১ মিনিটে মোহনবাগান বক্সের ঠিক মাথায় ফ্রি-কিক পেয়ে যায় মহামেডান। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি। ১৩ মিনিটের হলুদ কার্ড দেখেন মোহনবাগানের দীপেন্দু। ১৮ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের অভিষেকের দূরপাল্লার জোড়ালো শট দারুনভাবে সেভ করেন মহামেডান গোলকিপার বিয়াকার।
২০ মিনিটে গোল করে মহামেডান। বক্সের বাঁ-দিক থেকে শট নিয়ে রেমসাঙ্গা গোল করেন। যদিও ২৭ মিনিটের গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে মোহনবাগান। মহামেডানের ফাঁকা জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন কিয়ান নাসিরি। ৩৬ মিনিটে আবার মহামেডান গোলের সুযোগ মিস করে। বাগান গোলকিপার জাহিদের ব্যাক শট থেকে বল ধরে বাঁ-পায়ে জোরালো শট নেন জুইডিকা। বল চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
৫৫ মিনিটে মহামেডানের নিশ্চিত গোল সেভ করেন মোহনবাগানের পরিবর্ত গোলকিপার দেবনাথ। ৫৮ মিনিটে ম্যাচের সমতা ফেরায় কিয়ান নাসিরি। মহামেডান বক্সে অসাধারণ শটে গোল করেন তিনি। ৮০ মিনিটের মাথায় টাইসনের দুরন্ত গোলে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের বাঁকানো শটে বল মহামেডানের জালে জড়িয়ে দেন টাইসন। কিন্তু সেই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির।
অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময় দেওয়া হয়। আর তাতেই বাজিমাত। একদম শেষ মুহূর্তে ইর্শাদের দূর থেকে ভাসিয়ে দেওয়া বল হেডে মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে দেন ফৈয়াজ। ফলে ম্যাচে ২-২ সমতায় ফেরে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন