১৯ বছর পরে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডার্বি। আর ডার্বি শুরু হওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান শিবিরের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু। ডুরান্ড ফাইনালের প্রায় ৪৮ ঘন্টা আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে রেফারিং নিয়ে তোপ দাগলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
মোহনবাগানের নাম না করে তিনি বললেন, বোঝা যাচ্ছে না কেন কোনও ক্লাবকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, "২৭ অগাস্ট মুম্বই সিটি এফসিকে কোয়ার্টার ফাইনালে ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়। এই ধরণের পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি চাই। দীর্ঘ দিন ধরে এর শিকার আমাদের ক্লাব। আগামী দিন যাতে এর শিকার না হই তার জন্যই আমরা সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির কানে বিষয়টা পৌঁছে দিতে চাই।"
এই রকম চললে আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড কাপ খেলবে কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে বলে জানান লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা। তিনি বলেন, "আমদের যদি ডুরান্ড কাপে খেলতে হয় তাহলে তার আগে যথাযথ শর্তাবলী দিতে হবে। যদি যথাযথ শর্ত না হয়, আমরা ভেবে দেখব আগামী দিনে ডুরান্ড কাপ খেলব কি না। মৌখিক ভাবে বিভিন্ন জায়গায় আমরা জানিয়েছি। শনিবার লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হবে ডুরান্ড কমিটির কাছে। প্রয়োজন হলে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও জানানো হবে।"
লাল-হলুদের শীর্ষকর্তার এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, "বড় ম্যাচের আগে চাপের খেলা দুই ক্লাবই খেলত। এগুলো স্রেফ চাপের খেলা। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর তাদের কোচ জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিরুদ্ধে জিততে গেলে কলকাতায় কিছু জিনিস সম্ভব হয় না। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করেছি কিন্ত ওটা করতে পারিনি বলে আমরা হেরেছি। সেই নর্থইস্ট কোচই বলে গিয়েছিল ওই ক্লাব কী করে। সেটা তো মোহনবাগানের কোচ বলেনি। অন্য ক্লাবের কোচ বলে গেছে।"
আগামী রবিবার যুবভারতীতে ১৩২ তম ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জেতে ১-০ গোলে ফলে মোহনবাগানের কাছে ট্রফি জেতা আর বদলার ম্যাচ। শেষবার ২০০০ সালে ডার্বি জেতে মোহনবাগান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন