আইএসএলে সবুজ মেরুনের বিজয়রথ থামালো মুম্বই সিটি এফসি। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম হার মোহনবাগানের। এক গোলে এগিয়েও দু'গোল হজম করতে হলো হুয়ান ফেরান্দোর ছেলেদের। দুই দলের প্লেয়াররা দেখলো মোট ৭টি লাল কার্ড ও ১১টি হলুদ কার্ড। তারমধ্যে ৩টি লাল কার্ড দেখেছে মোহনবাগান এবং ৪টি লাল কার্ড দেখেছে মুম্বই।
মুম্বইয়ের কাছে ২-১ গোলে হারল মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথম থেকেই দু"দল ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে। তবে নাটকীয় ম্যাচে ভিলেন হলেন রেফারি। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে মুম্বইয়ের আকাশ মিশ্রকে লাল কার্ড দেখান তিনি। দশ জনের মুম্বইকে পেয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে মোহনবাগানের প্লেয়াররা। যার ফলে অধিনায়ক সুভাশিষ বোসের অসাধারণ পাস যায় লিস্টন কোলাসোর উদ্দেশ্যে। লিস্টনও নিখুঁত পাস দেন বিশ্বকাপার কামিংসকে। গোল করতে কোনো ভুল করেননি তিনি। ম্যাচের ২৫ মিনিটেই ১ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের প্লেয়াররা আরও বেশি ফিজিক্যাল হয়ে যান। মুম্বইয়ের স্টুয়ার্টকে ফাউল করায় ৫৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন আশিস রাই। তার তিন মিনিটের মধ্যে রেফারির সঙ্গে তর্ক করার জন্য দ্বিতীয় হলুদ (লালকার্ড ) দেখেন লিস্টন কোলাসো। ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ (লালকার্ড) দেখেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ম্যাচের শেষে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু"দলের ফুটবলাররা। অন্তিমলগ্নে লালকার্ড দেখেন মুম্বইয়ের বিক্রম প্রতাপ সিং, রাহুল ভেকে এবং মোহনবাগানের হেক্টর ইয়ুৎসে।
ইতিহাসে এর আগে এরকম ম্যাচ হয়নি। এই নিয়ে সমর্থকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেও মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো তেমন কোনও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেননি। বুধবার রাতে মুম্বইয়ের কাছে হারার পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "ফুটবলে এরকম হয়। তার সমাধানও বার করতে হয়। যাদের হাতে পাবো, তাদের নিয়েই দল নামাতে হবে। চোট, কার্ড সমস্যা নিয়ে কান্নাকাটি করার পক্ষপাতী আমি নই। এখন আমার কাজ পরের ম্যাচের জন্য দলকে প্রস্তুত করা। আমি জানি শনিবারের ম্যাচের জন্য কাদের পেতে পারি। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করে ঘরের মাঠে খেলতে নামবো"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন