আগামী ১২ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বি। তার আগে শহরে এলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের টিডি বা টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। সোমবার সকাল ৮টায় কলকাতায় আসেন।
সোমবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপের ম্যাচ দেখতে আসতে পারেন হাবাস। ডার্বিতে ডাগআউটেও দেখা যেতে পারে হাবাসকে। নতুন ভূমিকা পালনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে হাবাস বলেন, "মোহনবাগান এসজি-র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা আমাকে আবার কলকাতায় কাজ করার জন্য বেছে নিয়েছেন, সেই জন্য আমি খুশি ও সম্মানিত। কোচিং জীবনের সেরা সময়টা কলকাতায় কেটেছে। এখানকার ফুটবলপ্রেমীরা যে ভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তা ভোলার নয়। এবার আমি ক্লাবের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিচ্ছি। মোহনবাগানের ফুটবল স্ট্র্যাটেজি থেকে উন্নতির জন্য ম্যানেজমেন্ট ও টেকনিক্যাল স্টাফের সঙ্গে কাজ করব"।
আইএসএলে সফল কোচেদের মধ্যে সামনের সারিতে রয়েছেন হাবাস। যখন এটিকে এফসি-র কোচ ছিলেন, তখন তাদের দু’বার আইএসএল খেতাব জিতিয়েছিলেন হাবাস (২০১৪ ও ২০১৯-২০ মরশুম)। ২০১৫-য় তাঁর প্রশিক্ষণে কলকাতার দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। ২০২০-২১-এ এটিকে মোহনবাগানকেও তুলেছিলেন ফাইনালে। এ রকম একজন সফল কোচকে ২০২২-এর ডিসেম্বরে লিগ চলাকালীনই বিদায় জানানো হয় দলকে সঠিক পথে চালিত না করতে পারার জন্য। এ বার সেই হাবাসকেই ফিরিয়ে আনা হল।
২০২১-এর এপ্রিলে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টানা তৃতীয় বছরের জন্য হিরো আইএসএলে কলকাতার দলের দায়িত্বে থাকছেন হাবাস। কলকাতায় কোচ হিসেবে সেটি ছিল তাঁর চতুর্থ বছর। ২০১৪-য় প্রথম আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন এটিকে-র কোচ ছিলেন বলিভিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ হাবাস।
২০২১-২২ মরশুমে ডিসেম্বরে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ১-৫ গোলে হারার পর থেকে এটিকে মোহনবাগান জামশেদপুরের কাছে ১-২-এ হারে, চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ড্র ও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করে। এর পরই কোচ হাবাসকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন