সব জবাব মাঠেই দিলেন শ্রীভূমির কোচ সুজাতা কর। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে গতবার কন্যাশ্রী কাপ চ্যাম্পিয়ন করেও কিছু অফিসিয়ালরা তাকে প্রাপ্য সম্মান তো দিচ্ছল না বরং দলগঠনে হস্তক্ষেপ করছিল। এই অভিযোগে ইস্টবেঙ্গল ছাড়েন সুজাতা। কোচ হন শ্রীভূমি এফসির।
কোচ হয়েই শ্রীভূমিকে কন্যাশ্রী কাপ চ্যাম্পিয়ন করলেন আর সেটাও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তিনি জানালেন, 'সত্যি খুব আনন্দ হচ্ছে। গতবার এতো আনন্দ হয়নি। এবার কেন আনন্দ হচ্ছে সবাই নিশ্চই জানে। আমি যা হয়েছি আমার যা সাফল্য সবকিছুই আমার মেয়েদের জন্য।'
ম্যাচের ফলাফল ২-১। দুই ইস্টবেঙ্গল প্রাক্তনীর গোলেই জয় তুলে নিল শ্রীভূমি। এবছরই ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে শ্রীভূমিতে যোগ দেন সুজাতা কর। তার ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে আসার সময়টা খুব একটা ভালো ছিল না। তিনি মনে ক্ষোভ নিয়েই ইস্টবেঙ্গল ছেড়েছিলেন। সেই ক্ষোভটাই আজ মাঠে প্রকাশ পেল। কোচের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ছেড়েছিলেন মৌসুমি মূর্মূ, রিম্পা হালদার, কবিতা সোরেনরা। আবার উল্টোদিকে তৃষা মল্লিক, সুলঞ্জনা রাউল রয়ে গেছে ইস্টবেঙ্গলেই। প্রাক্তনদের মুখোমুখি হওয়াতে লড়াই জমে উঠেছিল প্রথম থেকেই। তবে পুরো ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের ওপর চাপ তৈরি করেছিল শ্রীভূমি। তাই একধিক ভুল করতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলকে।
ম্যাচ শুরু হওয়ার পরপরই গোলের সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কিন্তু গোল লাইন থেকে দুরন্ত সেভ করে শ্রীভূমি। এরপরই ইস্টবেঙ্গলের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে সুজাতা করের মেয়েরা। শ্রীভূমির হয়ে গোলের মুখ খোলেন রিম্পা হালদার। এগিয়ে যায় শ্রীভূমি। এই গোলের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের গোল করেন আরেকজন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড় মৌসুমি মূর্মূ। ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় শ্রীভূমি।
কিন্তু এরপরই ম্যাচের ৩৬ মিনিটে মৌসুমি মূর্মূ এবং ইস্টবেঙ্গলের সুলঞ্জনা রাউলের বিবাদ বাধে। বিবাদ হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মৌসুমি। হলুদ কার্ড দেখেন সুলঞ্জনা। দশ জনে লড়াই করে শ্রীভূমি। ২-০ গোলে এগিয়েই বিরতিতে যায় কবিতা, রিম্পারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন