বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য প্রাথমিক ২৬ জনের দলে ছিলেন না আইএসএল ফাইনাল খেলা দুই দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং মুম্বই এফসি দলের কোনো ফুটবলার। সেই নিয়ে বিতর্কের মাঝেই দ্বিতীয় পর্বে ঘোষিত হল আরও ১৫ জনের দ্বিতীয় একটি দল। আর সেই দলে মোহনবাগানের আট জন ফুটবলারকে রাখা হয়েছে। মুম্বই থেকে সুযোগ পেয়েছেন সাত জন।
সদ্য শেষ হওয়া আইএসএলে মুম্বইকে হারিয়ে লিগ-শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। ফাইনালে আবার মোহনবাগানকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে আইএসএল জেতে মুম্বই। মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরি, মনবীর সিং, সাহাল আব্দুল সামাদ, শুভাশিস বোস, আনোয়ার আলি, বিশাল কাইথ এবং লিস্টন কোলাসো দ্বিতীয় দলে আছেন।
ভুবনেশ্বরে ১০ মে থেকে ৪ সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবিরে কোচ ইগর স্টিমাচের অধীনে থাকবে ভারতীয় দল। প্রথম পর্বের ২৬ ফুটবলার ১০ তারিখ শিবিরে যোগ দেবেন। দ্বিতীয় পর্বের ১৫ ফুটবলারকে অতিরিক্ত বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ১৫ মে থেকে শিবিরে যোগ দেবেন তাঁরা। ৬ জুন যুবভারতীতে কুয়েত আর ১১ জুন কাতারের বিরুদ্ধে দোহাতে ভারতের ম্যাচ।
এই দুই ম্যাচ না জিতলে স্টিমাচের চাকরি নাও থাকতে পারে। ভারতের বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ের ৪১ জনের দল -
গোলরক্ষক - অমরিন্দর সিং, গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
ডিফেন্ডার - নিখিল পুজারি, অময় গণেশ রানাওয়াডে, জয় গুপ্ত, লালচুংনুঙ্গা, মহম্মদ হাম্মাদ (রিয়েল কাশ্মীর) , নরেন্দ্র গেহলট, এবং রোশন সিং।
মিডফিল্ডার - ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজ, এডমুন্ড লালরিন্ডিকা (ইন্টার কাশী), ইমরান খান, ইশাক ভানলালরুয়াতফেলা, নন্দকুমার, রাহুল কান্নোলি, সুরেশ সিং, ভিবিন মোহনন, জিকসন সিং, নাওরেম মহেশ এবং মহম্মদ ইয়াসির।
ফরোয়ার্ড - সুনীল ছেত্রী, পার্থিব গগৈ, ডেভিড (মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব), জিতীন মাদাথিল, লালরিনজুয়ালা (আইজল এফসি) এবং রহিম আলি।
ভারতের দ্বিতীয় পর্বের দল:
গোলরক্ষক— বিশাল কাইথ, ফুর্বা লাচেনপা।
ডিফেন্ডার— আকাশ মিশ্র, আনোয়ার আলি, মেহতাব সিং, রাহুল ভেকে, শুভাশিস বসু।
মিডফিল্ডার— অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরি, লালেনমাওয়াইয়া রালতে, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, লিস্টন কোলাসো এবং সাহাল আব্দুল সামাদ।
ফরোয়ার্ড— মনবীর সিং এবং বিক্রম প্রতাপ সিং।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন