পান্তের দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, রাস্তার হাল নিয়ে দ্বিমত BJP মুখ্যমন্ত্রী ও মোদী সরকারের সংস্থা

মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর কথায়, ভারতীয় ক্রিকেটার (ঋষভ পান্ত) হাসপাতালে তাঁকে জানিয়েছিলেন, রাস্তার গর্ত থেকে বাঁচার জন্য দুর্ঘটনাটি হয়।
দুর্ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া গাড়িটি
দুর্ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া গাড়িটিছবি সৌজন্যে ফেসবুক
Published on

ঋষভ পান্তের গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এর মধ্যেই বিতর্কে জড়ালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি।

দুর্ঘটনার দিন খবরে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গাড়ি চালাতে চালাতে ঋষভ পান্ত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তাঁর গাড়ি। কিন্তু সোমবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় ক্রিকেটার (ঋষভ পান্ত) হাসপাতালে তাঁকে জানিয়েছিলেন, রাস্তায় থাকা গর্ত থেকে বাঁচার জন্য দুর্ঘটনাটি হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে ঋষভ পান্ত কি কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন? নাকি রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা খারাপের বিষয়টি জানাচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি কিন্তু অস্বীকার করেছেন রুরকি ডিভিশনের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রদীপ সিং বলেন, যে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনো গর্ত ছিল না। ওই স্থানে একটি সরু খাল আছে। যার জন্য রাস্তাটিও সরু। খালটি মূলত ব্যবহৃত হয় নিকাশির জন্য।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পান্তের সমস্ত চিকিৎসার খরচ বহন করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। তবে তাঁর চিকিৎসা কেমন করে হবে তা বিসিসিআই ঠিক করবে। আমরা চাই তরুণ ক্রিকেটার দ্রুত সুস্থ হয়ে ময়দানে ফিরুক।

অন্যদিকে চিকিৎসক সূত্রে খবর, ঋষভ পান্তের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক বিশ্রামও দরকার। ক্ষতগুলি এখনও পুরোপুরি সারেনি। তাঁর অনুরাগীদের অনুরোধ করা হয়েছে, এই মুহূর্তে যেন কেউ দেখা না করতে আসে হাসপাতালে। এমনভাবে চলতে থাকলে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হবে। ইতিমধ্যেই ঋষভকে আলাদা কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া গাড়িটি
রোনাল্ডো নয় মেসিকেই চেয়েছিলাম! আল-নাসের কোচের মন্তব্যে তোলপাড় ফুটবল বিশ্ব

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in