আগামী ১৭ ডিসেম্বর রেড রোডে ২৫ কে কলকাতা ম্যারাথন। আর এবার ম্যারাথনের মুখ কলিন জ্যাকসন। ১৯৮৮ সিওল অলিম্পিক্সে রুপো জেতার পাশাপাশি ১৯৯৩ এবং ১৯৯৯ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনার মালিক। বিশ্বমঞ্চে মোট ২৫টি পদকের অধিকারী ওয়েলসের তারকা অ্যাথলিট।
শুক্রবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ফটোশুটের পর আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক থেকে শুরু করে নীরজ চোপড়াকে নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় মাতলেন তারকা অ্যাথলিট। কলিন জ্যাকসন বলেন, "নীরজের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে। সেটা ও নিজেও অনুভব করবে।
তিনি আরও বলেন, আজকাল মনঃসংযোগ বাড়ানোর একাধিক উপায় আছে। তাই অলিম্পিকের চাপ নিলে হবে না। সবসময় সেটা মাথায় রাখাও চলবে না। চাপমুক্ত হয়ে নামতে হবে। নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। এটাই হবে ওর সাফল্যের চাবিকাঠি। ওর ফোকাস এবং কমিটমেন্ট অন্য পর্যায়। জ্যাভলিন ছোড়ার সময় বর্ষা সঠিক জায়গায় রাখার চেষ্টা করে। রিলিজটা দেখার মতো।
নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একটা মাইন্ডসেট নিয়ে নামতাম। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গর্ববোধ করতাম। প্রতিবার নতুন লক্ষ্য সেট করতাম। প্রত্যেক রেসকেই ফাইনাল হিসেবে ধরতাম। এখনকার অ্যাথলিটরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এক মিনিটের জন্যও মনঃসংযোগ হারানো যাবে না। তাহলেই জায়গা দখল হয়ে যাবে। সেই মরিয়া চেষ্টা থাকতে হবে।
ভারতীয় অ্যাথলিটদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতীয় অ্যাথলিটরা ভালই করছে। ভয় পেলে চলবে না। মন থেকে ভয় পুরোপুরি মুছে ফেলতে হবে। অলিম্পিকে নামছি ভাবলে হবে না। সেটা ভুলে যেতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে।
কলকাতা তথা ভারত নিয়ে তিনি জানান, একটা সংস্থার স্পোর্টস ডিরেক্টর হিসেবে ২০১৮ সালে দিল্লিতে এসেছিলাম। কলকাতায় এই প্রথম। শহরটা দারুণ লাগছে। ভরপুর এনার্জি। নিউইয়র্ক যেমন কখনও ঘুমোয় না, কলকাতাও তেমনই। ভিক্টোরিয়ার আশেপাশে রাস্তাঘাট ব্যস্ততম। কলকাতায় এসে মাছ, মাংস খেয়েছি। ভাল লেগেছে। এখানকার মিষ্টির সুনামের কথা শুনেছি। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে আছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন