নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ এবার নেপালের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানেকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বৃহস্পতিবার নেপালে পা রাখার সাথে সাথেই কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।
৮ সেপ্টেম্বর নেপাল পুলিশ সন্দীপ লামিচানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তখনই নেপালের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয় লামিচানেকে। তখন সিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলার জন্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ছিলেন লামিচানে। সেখান থেকেই লামিচানে তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি দেশে ফিরছিলেন না। অবশেষে পলাতক সন্দীপ ধর্ষণের মামলায় আত্মসমর্পণ করতে রাজি হন।
কাঠমান্ডুর জেলা আদালত লামিচানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরেও তিনি দেশে ফিরছিলেন না। তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য ইন্টারপোলের শরণাপন্ন হয় নেপাল পুলিশ। নেপাল পুলিশের অনুরোধে সন্দীপ লামিছনের বিরুদ্ধে ২৬ সেপ্টেম্বর ডিফিউশন নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। যে কোনও মুহূর্তে ইন্টারপোল তাঁকে খুঁজে বার করে গ্রেপ্তার করতে পারে। তাই নিজেই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন অবশেষে।
পলাতক সন্দীপ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "৬ অক্টোবর, ২০২২–এ আমার নিজ দেশ নেপালে পৌঁছে যাচ্ছি। এবং ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের জন্য নেপাল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করব।"
এছাড়া নিজের গোপন আস্তানা থেকে পলাতক সন্দীপ তাঁর ভক্তদের উদ্দেশ্যে লেখেন, "আপনাদের সমর্থন, আস্থা, আত্মবিশ্বাস এবং আপনাদের সমালোচনামূলক মন্তব্য আমার কাছে সম্পদ। এটাকে আমি আমার অনুপ্রেরণা এবং শক্তি হিসাবে গ্রহণ করেছি। আমি জানি যে আমি ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা অভিযোগের একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি। আমার উপর এর প্রভাব অকল্পনীয়। আমি নিশ্চিত যে নির্দোষ প্রমাণিত আসামিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আমাদের আইনি ব্যবস্থায় কিছু ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমি শীঘ্রই আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্যায় মামলা এবং অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা চাইব। আমি নিশ্চিত যে আমি ন্যায়বিচার পাব। আমি আমার প্রিয় দেশের নাম উজ্জ্বল করতে শীঘ্রই ক্রিকেট মাঠে ফিরে আসব। আমি দ্রুত বিচারের জন্য প্রার্থনা করছি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন