এবার আনোয়ার আলি ইস্যুতে ইস্টবেঙ্গলকে কটাক্ষ করলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তারকা ডিফেন্ডারকে ছাড়তে নারাজ মোহনবাগান।
দেবাশিস দত্ত বলেন, 'আনোয়ার এখন মোহনবাগানের ফুটবলার। ওর সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। আমরা ওকে এনওসি দেব না। ও এআইএফএফের কাছে আবেদন জানিয়েছে। আমার মতে এআইএফএফ ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না। ওকে দিলে ভবিষ্যতে বাকিদেরও দিতে হবে। ফুটবলে চুক্তির বিষয়টাই আর থাকবে না। ইস্টবেঙ্গল বলছে সই করেছে। তবে ওদের ওখানে সই করেনি আনোয়ার। এতটা বোকা নয়। ফুটবল কেরিয়ার আছে ওর। আর ইস্টবেঙ্গলের বরাবরের স্বভাব অন্যর দল ভাঙিয়ে নেওয়া।'
এদিকে আনোয়ার আলি যাচ্ছেন প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের আইনজীবীরাও ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই বিষয়ে। দিল্লি এফসির ফুটবলার হলেও লোনে মোহনবাগানের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি আছে দেশের এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারের। এই অবস্থায় তিনি ইস্টবেঙ্গলে সইও করেছেন শোনা যাচ্ছে।
নির্বাসন থেকে আর্থিক জরিমানা হওয়ার সম্ভবনা আছে আনোয়ারের। যদিও সবটাই কয়েকদিনের মধ্যে পরিষ্কার হবে। ২৯ জুলাই থেকে মোহনবাগানের মূল দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তার ঠিক ১০ দিন আগে আনোয়ারকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়েছে। যদি না আসেন জরিমানা হবে তাঁর।
ফিফার আইনের ১.৩(বি) ধারায় বলা হয়েছে, ‘ফিফার সমস্ত সদস্য দেশকে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দেশীয় ফুটবলারদের লোন সংক্রান্ত নিয়ম বদল করতে বলা হচ্ছে। ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩ বছরের সময় দেওয়া হচ্ছে।’
এআইএফএফ জানিয়েছে, পরবর্তী ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ আনোয়ারকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে হলে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আসতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন