করোনা ভ্যাকসিন না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে জকোভিচকে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামার অনুমতিই পাননি তিনি। সেইসঙ্গে তিন বছর অস্ট্রেলিয়া সরকার ব্যান করেছে সার্বিয়ান তারকাকে। ভ্যাকসিন না নিলে ফরাসী ওপেনের দরজাও বন্ধ হতে পারে তাঁর। অথচ করোনার ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে এমন একটি সংস্থায় ভ্যাকসিন না নেওয়া জকোভিচের ৮০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ডেনমার্কের ‘কোয়ান্টবায়োরেস’ নামের একটি সংস্থার সিইও স্বয়ং জকোভিচের মালিকানার সম্পর্কে জানান। সংস্থাটির সিইও ইভান লনকারেভিচ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের জুন মাসে সেই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন নোভাক জোকোভিচ।
তবে সার্বিয়ান নম্বর ওয়ান টেনিস তারকা কত টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সে কথা জানাননি তিনি। করোনার টিকা নয়, কোয়ান্টবায়োরেস নামের ওই সংস্থা গবেষণা চালাচ্ছে করোনার ওষুধের। কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে ওষুধের সাহায্যে কীভাবে সুস্থ করা যাবে তার গবেষণা চালাচ্ছে। ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও স্লোভেনিয়াতে সংস্থার ১১ জন বিজ্ঞানী করোনার ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রায়ালও চালিয়েছেন তাঁরা।
তবে এই বিনিয়োগের ব্যপারে এখনও জকোভিচের পক্ষ থেকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে এসে আপাতত দুবাইয়ে রয়েছেন তিনি। কয়েকদিন বিশ্রাম করে প্র্যাকটিসে নামবেন বিশ্বসেরা টেনিস খেলোয়াড়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন