১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ার কারণে অলিম্পিক্স কুস্তির ফাইনাল থেকে বাতিল ঘোষণা করা হয় ভীনেশ ফোগাটকে। তিনি বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে পারেননি। একই ভাবে আমন সেরাওয়াতের ওজন ৪.৫ কেজি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১০ ঘণ্টায় তিনি সেই ওজন কমিয়ে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিলেন দেশকে।
আমন পারলেন, ভীনেশ পারলেন না। শুক্রবার রাতে পুরুষদের ৫৭ কেজি কুস্তির বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন আমন। ব্রোঞ্জ ম্যাচে নামার আগে ৪.৬ কেজি ওজন বেড়ে যাওয়াতে বেশ চিন্তিত ছিলেন আমন। কিন্তু ১০ ঘন্টার মধ্যেই তিনি যোগ্যতা অর্জনের জন্য ৫৭ কেজির মধ্যে নিজের ওজনকে নিয়ে আসেন।
আমনের ওজন হয়েছিল ৬১.৫ কেজি। সেখান থেকে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে ৪.৬ কেজি ওজন কমান। জিমে গিয়ে ট্রেড মিলে অনবরত দৌড়তে থাকেন। তারপর ৩০ মিনিট বিরতি নিয়ে 'সনা বাথ' নেন। ৫ মিনিট করে ৫ বার এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তারপরেও ৯০০ গ্রাম বেশি থাকে আমনের। তারপর তিনি ১৫ মিনিট করে ৫ বার জগিং করতে থাকেন। সমস্ত অনুশীলন শেষে তাঁর ওজন হয় ৫৬.৯ কেজি। ফলে ১০০ গ্রাম কম ওজনে যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি। ব্রোঞ্জ ম্যাচে পুয়ের্তো রিকোর কুস্তিগীরকে ১৩-৫ ব্যবধানে হারিয়ে পদক জেতেন আমন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সবক'টি অলিম্পিক্সে কুস্তিতে পদক জিতেছে ভারত। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ এবং ২০১২ লন্ডন কলিম্পিক্সে রুপোর পদক জিতেছিলেন কুস্তিগীর সুশীল কুমার। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সেই ব্রোঞ্জ জেতেন যোগেস্বর দত্ত। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সাক্ষী মালিক। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে রুপোর পদক জিতেছিলেন রবি কুমার এবং ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন বজরং পুনিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন