অলিম্পিকের ট্রাম্পোলিনের ফাইনালে জিতে সোনার পদক পেয়েছেন বেলারুশের ইভান লিটভিনোভিচ। কিন্তু পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে নিজের দেশের পতাকা উত্তোলিত হতে দেখলেন না বা তাঁর দেশের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হল না। কারণ তিনি নিরপেক্ষ অ্যাথলিট হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
ট্রাম্পোলিন বিভাগে সোনা জিতেছেন ইভান। এই বিভাগে রুপো জেতেন চীনের ওয়াং জিসাই এবং ইয়ান ল্যাং ইউ ব্রোঞ্জ জিতেছেন। সাধারণত সোনার পদক জিতলে ওই অ্যাথলিটের দেশের পতাকা শীর্ষে উত্তোলনের পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। কিন্তু ইভানের ক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। জাতীয় সঙ্গীতের বদলে অলিম্পিক কমিটির দেওয়া একটি মিউজিক বাজানো হয়। উত্তোলন করা হয়নি বেলারুশের পতাকাও।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যে সমস্ত দেশ যুদ্ধকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে বা সরাসরি রাশিয়াকে সাহায্য করেছে সেই সমস্ত দেশকে ব্যান করেছে অলিম্পিক্স কমিটি। সংশ্লিষ্ট দেশের অ্যাথলিটরা কেবল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে পারবেন। যেখানে তাঁদের নিজেদের দেশের কোনও পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কোনও অ্যাথলিট পদক জেতেন তাহলে সেই পদকটি আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের জন্য গ্রহণ করা হবে না।
চলতি অলিম্পিক্সে ১৫জন রাশিয়ান অ্যাথলিট এবং ১৭ জন বেলারুশের অ্যাথলিট অলিম্পিক্স কমিটির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। সকলেই অলিম্পিক্স কমিটির শর্ত মেনেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
পদক জয়ের পর ইভান বলেন, এখানে আর বলার কিছু নেই। পৃথক অনুভূতি। একটা মিউজিক চলছিল। কিন্তু আমাদের জাতীয় সঙ্গীত তার থেকে ভালো। আশা করি ভবিষ্যতে নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পারব এখানে।
এর আগে চলতি অলিম্পিক্সেই মহিলাদের ট্রাম্পোলিনে রুপোর পদক জেতেন বেলারুশের ভিয়ালেতা বার্দজিলোস্কায়া। তিনিও নিরপেক্ষ অ্যাথলিট হিসেবেই অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন