PELE: বিশ্বকাপের পরেই চিরঘুমে ‘ফুটবল সম্রাট’

ফাইনালের পর মেসি ও এমবাপ্পেকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। তবে ক্যান্সারের পাশাপাশি একাধিক রোগে ভুগতে থাকা পেলে'কে আর সুস্থ করে তুলতে পারলেন না চিকিৎসকরা।
প্রয়াত ফুটবল সম্রাট
প্রয়াত ফুটবল সম্রাটফাইল চিত্র
Published on

চলে গেলেন 'ফুটবল সম্রাট'। দু'বছর আগে নভেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। এবার 'ফুটবল সম্রাট'ও পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। বিশ্বকাপের পরেই জীবনাবসান ঘটলো পেলের। তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তীর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

২০২১ সাল থেকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালেই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কাতার বিশ্বকাপ হাসপাতালে বসেই দেখেছিলেন। ফাইনালের পর মেসি ও এমবাপ্পেকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। তবে ক্যান্সারের পাশাপাশি একাধিক রোগে ভুগতে থাকা পেলে'কে আর সুস্থ করে তুলতে পারলেন না চিকিৎসকরা।

পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো। টমাস আলভা এডিনসনের নাম অনুসারে পেলের নাম রাখেন বাবা। বাবার কাছেই ফুটবলের হাতেখড়ি। ১৫ বছর বয়সে সাও পাওলোর স্যান্টোস ক্লাবে সুযোগ পান। আর এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর স্বপ্নের উড়ান। 

মাত্র ১৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে আবির্ভাব ঘটে তাঁর। এই বিশ্বকাপে তিনি যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। পরের বিশ্বকাপে ফের চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ফাইনালে পেলে খেলতে না পারলেও টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ গুলিতে তিনিই ছিলেন দলের প্রধান অস্ত্র। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। পরের বিশ্বকাপে পেলে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়ে ব্রাজিল এবং পেলে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in