সবুজঅবশেষে মোহনবাগান ছাড়লেন গত বছর আইএসএল জয়ী অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। তাঁর জায়গায় যোগ দিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। সাহালকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দলে নিল ময়দানের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব।
শুক্রবার সাহালের যোগ দেওয়ার খবর প্রকাশ করেছে মোহনবাগান। কেরালা ব্লাস্টার্সের তারকার সঙ্গে পাঁচ বছরেরর চুক্তি করেছে ময়দানের ক্লাবটি। কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে ৯২টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাহালের। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের হয়েও দুরন্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন এই তরুণ তারকা।
মোহনবাগানে যোগ দিয়ে সাহাল বলেন, “মোহনবাগান জার্সি পরে খেলব এটা ভেবেই গর্ব অনুভব করছি। সতীর্থদের কাছে শুনেছি সবুজ মেরুন জার্সি পরার পর অন্য রকম আবেগ কাজ করে। আর কলকাতা ডার্বিকে তো এল ক্লাসিকোর সঙ্গে সবাই তুলনা করেন। আমার একমাত্র নেশা হচ্ছে ফুটবল ম্যাচ দেখা। সময় পেলেই বিশ্বের সব সেরা লিগের সব ম্যাচ দেখার চেষ্টা করি। ফলে ডার্বির সময় স্টেডিয়ামের অবস্থা কেমন হয় সেটা আমি টিভিতে অনেকবার দেখেছি। সেই ম্যাচ খেলতে নামব সবুজ-মেরুন জার্সি পরে, ভেবেই দারুণ লাগছে। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক থাকবে আমাদের টিমকে সমর্থন করতে। জয়ের ভাবনা ছাড়া কখনও মাঠে নামিনি। উইন, উইন অ্যান্ড উইন এটাই মন্ত্র আমার। ডার্বিতেও সেটা বজায় থাকবে।”
সাহাল আরও বলেন, “দুদিন আগেই আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমার স্ত্রী রেজাও নামী ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে এই চুক্তি মনে হচ্ছে বিয়ের সেরা উপহার। মোহনবাগান এবার দেশের সেরা দল গড়েছে। দুজন বিশ্বকাপার, ইউরো কাপ খেলা বিদেশির সঙ্গে খেলবো। জাতীয় দলের পাঁচ ছয়জন সতীর্থ ফুটবলার রয়েছে এই টিমে। দেশের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক কাপ জিতেছি। কিন্তু কখনও দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্ট আইএসএল ট্রফি ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পাইনি। সবুজ মেরুনে সই করার পিছনে এটা অন্যতম কারণ। আমার বিশ্বাস মোহনবাগান এবারও ভারত সেরা হবে। আমিও ট্রফি ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন