২০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারে আয়োজক দেশ কাতার। ৩২ টি দেশ এবারের বিশ্বকাপে খেললেও এমন ৫টি দেশ আছে যাদের অনুপস্থিতি ফুটবল বিশ্ব অনুভব করবে।
প্রথমে যে দেশের নাম বলতেই হবে সেটা হল ইটালি। ফিফা তালিকায় ৬ নম্বরে থেকেও বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় চার বারের বিশ্বকাপ জয়ী দেশ। ইটালি ভক্তরা এতে বেশ হতাশই হয়েছেন। নর্থ ম্যাসিডোনিয়ার কাছে প্লে অফ সেমিফাইনালে হেরে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আশাভঙ্গ হয় আজুরিদের।
দ্বিতীয় দেশটি হল চিলি। চিলি বললেই স্যাঞ্চেস ও ভিদালের পায়ের জাদুর কথা মনে পড়ে সকলের। তবে দুঃখের বিষয় হল কাতার বিশ্বকাপে তাদেরকে দেখা যাবে না। ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ২৯ নম্বরে থেকেও কাতারের টিকিট পায়নি চিলি। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে চিলি। ২২-র বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জেতে স্যাঞ্চেসরা।
ফিফা তালিকায় ১৭ নম্বরে কলম্বিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে তারকা খেলোয়াড়ের অভাব তেমনটাও নয়। তাও কনমেবল কোয়ালিফায়ারে ষষ্ঠ স্থানে যাত্রা শেষ করে তারা। কলম্বিয়ারই তারকা প্লেয়ার জেমস রড্রিগেজ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটও জেতেন। তিনি এক বছর কাতারে ক্লাব ফুটবলও খেলেছিলেন। তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখের আমার কাছে।
চতুর্থ দেশটি হল রাশিয়া। ফিফা তালিকায় ৩৫ নম্বরে আছে। কাতার বিশ্বকাপ থেকে রাশিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণটা সকলের কাছে পরিষ্কার। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের ফলেই তাদেরকে কাতার বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ফিফা। ২০১৮ বিশ্বকাপে সকলকে চমক দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল রাশিয়া।
ফিফা তালিকায় ২০ নম্বরে থাকা সুইডেনও এবারের বিশ্বকাপে নেই । যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৬ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচ হারে সুইডেন। যা বিশ্বকাপের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ১৯৫৮ সালে সুইডেন ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করে। সেই বছর ফাইনালেও পৌঁছায় সুইডেন। তবে ব্রাজিলের কাছে হেরে রানার্স হয় তারা।
এই ৫টি দেশ ছাড়াও কাতার বিশ্বকাপে ইজিপ্ট, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়ার মতো দেশের খেলাও দেখতে পাবেন না ফুটবল বিশ্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন