ইতিহাস গড়লো চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ছাত্ররা। ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে হারিয়ে প্রথম রঞ্জি ট্রফি ঘরে তুললো মধ্যপ্রদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে মাত্র ২৬৯ রানেই বেঁধে ফেলে মধ্যপ্রদেশ। জয়ের জন্য ১০৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে প্রথম রঞ্জি জয় আদিত্য শ্রীভস্তবাদের।
১৯৯৮-৯৯ মরশুমে প্রথমবার রঞ্জির ফাইনালে উঠেছিলো মধ্যপ্রদেশ। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। তবে কর্নাটকের কাছে হেরে রঞ্জি হাতছাড়া হয় তাঁর। দীর্ঘ ২৩ বছর পর এই মরশুমে আবার ফাইনালে পৌঁছায় মধ্যপ্রদেশ। এবারও দলের সাথে ছিলেন চন্দ্রকান্ত। তবে ক্রিকেটার হিসেবে নয়, কোচ হিসেবে। অধিনায়ক হিসেবে চন্দ্রকান্ত যা করতে পারেননি। কোচ হিসেবে ২৩ বছর পর তাই করে দেখালেন। মুম্বইকে হারিয়ে প্রথম রঞ্জি ট্রফি ঘরে তুলেছে তাঁর শিষ্যরা।
শারফরাজ খানের (শতরান এবং যশস্বী জসওয়ালের ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রান তুলেছিলো মুম্বই। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশের হয়ে শতরান জোড়েন যশ দুবে (১৩৩), শুভম শর্মা (১১৬) এবং রজত পাতিদার(১২২)। তিন ব্যাটারের দাপটে প্রথম ইনিংসে ৫৩৬ রান করে মধ্যপ্রদেশ এবং ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের সামনে লীড রাখে ১৬২ রানের। প্রথম ইনিংসের এই পাহাড় প্রমাণ রানের সাথে সাথেই একপ্রকার শিরোপা জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছেই গিয়েছিলো চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ছাত্ররা।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে আগুন ঝরালো মধ্যপ্রদেশ। কুমার কার্তিকেয়, গৌরব যাদব, পার্থ সাহানীরা দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইকে ২৬৯ রানেই বেঁধে ফেলে। ইতিহাস গড়ার জন্য মধ্যপ্রদেশের সামনে লক্ষ্য থাকে মাত্র ১০৮ রানের। প্রথম ইনিংসের লীডের সৌজন্যে এই ম্যাচ ড্র করলেও খেতাব জিতে নিতো মধ্যপ্রদেশ। তবে এই অল্প লক্ষ্য সহজেই অতিক্রম করে ম্যাচ জয়ের সাথে সাথে প্রথম রঞ্জি ট্রফি জয় করলো মধ্যপ্রদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ তম ওভারেই ৬ উইকেটে মুম্বই বধ করেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ছাত্ররা। হিমাংশু মন্ত্রী করেন ৩৭ রান। শুভম শর্মার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান এবং রজত পাতিদার অপরাজিত রয়েছেন ৩০* রানে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন