অঝোরে কাঁদছেন ফেডেরার। তাঁকে জড়িয়ে ধরে মন খারাপের সঙ্গী হচ্ছেন স্ত্রী। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি পেশাদারী কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় 'শত্রু' রাফায়েল নাদাল। ভারাক্রান্ত মনে পাশে দাঁড়ালেন নোভাক জকোভিচ, অ্যান্ডি মারে, কাসপের রুড, মাত্তেও বেরেত্তিনিরা। ফেডেরার-নাদালের চোখের জলে ভিজলো পুরো টেনিস বিশ্বই।
খাতায় কলমে লেভার কাপের ম্যাচ হলেও এই ম্যাচের সমস্ত আলো যাকে জুড়ে ছিল তিনি হলেন 'টেনিসের রাজা'। সমস্ত আগ্রহ ফেডেরারকে জুড়েই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালের সঙ্গে জুটি বেঁধে জীবনের শেষ পেশাদারী ম্যাচে মাঠে নামলেন ২০ টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সুইশ কিংবদন্তী। তবে পেশাদারী কেরিয়ারের শেষ ম্যাচটা জিততে পারলেন না ফেডেরার। যে রাজাকে র্যাকেট হাতে রাজত্ব করতে দেখেছিল টেনিস বিশ্ব তার ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। কেরিয়ারের শেষ লগ্নে হাঁটুর চোট কার্যত ফেডেক্স ম্যাজিককে মলিন করে দিয়েছে। এদিন ফেডেরারকে জেতানোর জন্য নিজের সবটা উজাড় করে দিলেন রাফ। তা সত্ত্বেও জয় এলো না।
ম্যাচের শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লো ও'টু এরিনা। অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন ফেডেরার। তাঁর সাথে কাঁদছে যেনো পুরো ও'টু এরিনা। চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না ২২ টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী স্প্যানিশ কিংবদন্তীও। চোখে জল, ঠোঁটে হাসি নিয়ে ফেডেরার বললেন, "নাদালের সঙ্গে এক দলে খেলাটা দারুণ উপভোগ করলাম। এখানে যে সব কিংবদন্তিরা রয়েছে সকলকে ধন্যবাদ।"
জীবনের শেষ ম্যাচ খেলে মাইক হাতে নিয়ে একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুইশ সম্রাট বলেন, "কোনও মতে কেটে গেল, তাই না? আমি খুশি। তোমাদের যেমন বলছিলাম। আমার কোনও দুঃখ নেই।"
খেলার শেষে এদিন হাতাতালিতে ফেটে পড়ে ও'টু এরিনা। বিদায়ী ভাষণে ফেডেরার বললেন," দুর্দান্ত একটা সফর। এরকমই হওয়ার কথা ছিল। আমি খুশি টেনিস খেলতে পেরে। এই সফরটা আরও এক বার হলে মন্দ হয় না। আমার জন্য এত মানুষ চিৎকার করছে। এ এক অদ্ভুত পাওয়া। আশা করছি আমি ভালই করেছি। অন্তত কথা তো বলতে পারছি। সকলে এখানে রয়েছে। খুব ভাল লাগছে। আমার মেয়েরা, ছেলেরা, স্ত্রী, সকলে রয়েছে।"- আর পারলেন না। পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলেন 'রাজা'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন