কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোল পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যার সৌজন্যে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি আলাদা আলাদা বিশ্বকাপে গোল করার অনন্য নজির গড়েছেন পর্তুগীজ মহাতারকা। তবে এটুকুই। এর বেশি জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে। দুঃস্বপ্নের ফিফা বিশ্বকাপ কেটেছে পাঁচ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ীর। এমনকি নক আউট পর্বে সুইজারল্যান্ড এবং মরক্কোর বিপক্ষে প্রথম একাদশেই জায়গা হয়নি সিআর সেভেনের। যার ফলে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পর্তুগাল ছিটকে যাওয়ার পরেই কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের বিরুদ্ধ সরব হয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। এবার রোনাল্ডোর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রাসেপ এর্দোগান। তিনি জানালেন কাতার বিশ্বকাপে 'রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা'-র শিকার হয়েছেন রোনাল্ডো। তাঁকে 'অপচয়' করা হয়েছে।
এর্দোগান তুরস্কের এক অনুষ্ঠানে বলেন, "রোনাল্ডোকে ওঁরা পুরোপুরি অপচয় করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওঁর ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। রোনাল্ডোর মত একজন ফুটবলারকে ম্যাচ শেষের মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকতে মাঠে নামিয়ে মানসিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ওঁর এনার্জি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আসলে রোনাল্ডো এমন একজন যে সবসময় প্যালেস্টাইনের হয়ে মুখ খুলেছে।"
পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পর্তুগাল ছিটকে যাওয়ার পর রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন, "আমার কোনো অনুশোচনা নেই।" স্যান্টোস বলেন, "এটি এমন একটি দল ছিল যারা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খুব ভালো খেলেছে। ক্রিশ্চিয়ানো একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, তখনই সে এসেছিল যখন আমরা তার প্রয়োজন মনে করেছি।"
চলতি মরশুমে ৩৭ বর্ষীয় রোনাল্ডো তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি মরশুমে প্রিমিয়ার লীগে মাত্র দশ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ম্যান ইউর কোচ সম্পর্কে মুখ খোলায় বিশ্বকাপ চলাকালীনই ম্যান ইউ চুক্তি বাতিল করেছে তাঁর সাথে। বর্তমানে ক্লাব হারা এই জেনারেশনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। স্পোর্টস মিডিয়ায় রীতিমতো চর্চা চলেছে রোনাল্ডোকে নিয়ে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন