মাঠে নামার সাথে সাথেই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম লেখা হয়ে গিয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। রেকর্ড যে তাঁর পিছনে দৌড়ায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ৩৮ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে এক বড় মাইলফলক স্পর্শ করলেন রোনাল্ডো।
বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দেশের জার্সিতে ২০০টি ম্যাচ খেলার অনন্য নজির গড়লেন তিনি। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে গতরাতের ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচটিই ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাচ। আর এই স্মরণীয় ম্যাচ পর্তুগিজ মহাতারকা আরও স্মরণীয় করে রাখলেন গোল করে। তাঁর একমাত্র গোলেই গতরাতে আইসল্যান্ডকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে পর্তুগাল।
মেদেইরার ছোট্টো শহর ফুঞ্চাল থেকে উঠে আসা সেই বছর ষোলোর রোনাল্ডো, আজ হাজার প্রতিকূলতাকে জয় করে বিশ্ব ফুটবলের আইকন। বিতর্কিতভাবে এই প্রজন্মের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার। তাঁর সমবয়সী অধিকাংশ ফুটবলার অবসর নিলেও, পর্তুগিজ মহাতারকার গোলের খিদে এখনও মেটেনি। ৩৮ বছর বয়সে এসেও তাই তিনি খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। গোলও করছেন। গতরাতে ম্যাচ যখন প্রায় ড্রয়ের দিকে, ৮৯ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে জেতান সিআর সেভেন। ২০২৪ ইউরো বাছাইপর্বে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি গোল করে ফেলেছেন তিনি।
আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর রোনাল্ডো বলেন, "এটা এমন একটা মুহূর্ত যেটা আমি আগে কল্পনাও করিনি। দেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা দারুণ ব্যাপার। আমার জন্য এটা একটা অবিশ্বাস্য প্রাপ্তি। গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা পাওয়াটাও অসাধারণ। জয়সূচক গোল করতে পারায় এই ম্যাচটা আরও বিশেষ হয়েছে। তাই আমি স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রত্যেকে যেভাবে আমাকে ও পর্তুগাল জাতীয় দলকে সমর্থন করেছে তাতে আমরা ভীষণ আপ্লুত। এমন একটা বিশেষ দিন স্মরণীয় করে রাখায় আইসল্যান্ডের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।"
ইউরো বাছাইপর্বের চার ম্যাচে চারটিতেই জয় তুলে নিয়ে গ্রুপ-জে'র শীর্ষে রয়েছে পর্তুগাল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্লোভাকিয়া। স্লোভাকিয়া তিন ম্যাচ জিতেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র করেছে। পরবর্তী চারটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে, লুক্সেমবার্গ, বসনিয়া, আইসল্যান্ড এবং লিচেনস্টাইন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন