আগামী ২১ শে জুন থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে বসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের আসর। বুধবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই টুর্নামেন্টের ১৪ তম আসরের ড্র। দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দল এবং দুই অতিথি মিলিয়ে মোট আট দলীয় টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বেই ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান।
'এ'- গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ছাড়া রয়েছে নেপাল এবং অতিথি দেশ কুয়েত। এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে ধরা হচ্ছে লেবাননকে। অতিথি দল হিসেবে এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবে তারা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লেবানন রয়েছে ৯৯ নম্বরে। আর-এক অতিথি দেশ কুয়েত রয়েছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৪৩তম স্থানে। সাফের অন্তর্গত দক্ষিণ এশিয় দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং ১০১। এরপর রয়েছে যথাক্রমে মালদ্বীপ (১৫৪), নেপাল (১৭৪), ভুটান (১৮৫), বাংলাদেশ (১৯২) এবং পাকিস্তান (১৯৫)।
সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ড্র-তে এদিন র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দুই শীর্ষ দল লেবানন ও ভারতকে রাখা হয় দুই পটে। 'এ'- পটে ভারত এবং 'বি'- পটে লেবানন। র্যাংকিং অনুযায়ী বাকি তিনটি পটের জন্য যথাক্রমে রাখা হয় কুয়েত ও মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটান এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে।
ড্রয়ের ফলে গ্রুপ 'এ'- তে জায়গা পেয়েছে ভারত, কুয়েত, নেপাল এবং পাকিস্তান। গ্রুপ 'বি'-তে রয়েছে লেবানন, মালদ্বীপ, ভুটান এবং বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের মঞ্চে পাঁচ বছর পর ফের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং ভারত। শেষবার ২০১৮ সালে এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেবার ৩-১ গোলে জিতেছিল ভারত।
২০২১ সালের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল ব্লু টাইগার্সরা। অন্যদিকে ভারতের গ্রুপে থাকা অতিথি দেশ কুয়েতের বিপক্ষে ২০১০ সালে শেষবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। কুয়েতের কাছে সেবার ৯-১ গোলে পর্যুদস্ত হতে হয় ইন্ডিয়াকে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল ভারত। ১৩ আসরে ৮ বার এই খেতাব জিতেছে ব্লু টাইগার্সরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। ভারত ছাড়া একের বেশি বার এই খেতাব জিতেছে শুধু মালদ্বীপ। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা এই শিরোপা একবার করে জেতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন