Sakshi Malik: 'তার বিছানায় আমাকে...' - আত্মজীবনীতে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সাক্ষী মালিক

People's Reporter: ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন সাক্ষী মালিক সহ দেশের প্রথম সারির একাধিক কুস্তিগীর।
সাক্ষী মালিক
সাক্ষী মালিকছবি - সংগৃহীত
Published on

ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং-র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে পদকজয়ী প্রাক্তন কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক। নিজের আত্মজীবনীতেও একথা লিখেছেন সাক্ষী। তবে ছোটোবেলাতেও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন প্রাক্তন কুস্তিগীর।

ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের তৎকালীন সভাপতি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন সাক্ষী মালিক সহ দেশের প্রথম সারির একাধিক কুস্তিগীর। উত্তাল হয়েছিল দিল্লির রাজপথ। এবার নিজের আত্মজীবনীতে জীবনের তিক্ত ও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা লিখেছেন সাক্ষী। কাজাখস্তানের আলমাটিতে ২০১২ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের সময়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।

সাক্ষী লেখেন, 'ব্রিজভূষণ আমাকে আমার মা-বাবার সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদেরকে আমি ম্যাচ জয় আর পদকের কথা বলছিলাম। তখনও পর্যন্ত আমি ভাবতে পারিনি এমন ঘটনা ঘটবে আমার সাথে। পরিবারের সাথে কথা বলার পরই শ্লীলতাহানি করতে চেয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণ। আমি তাঁর বিছানায় বসেছিলাম। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিই এবং কাঁদতে লেগেছিলাম।'

সাক্ষী আরও বলেন, 'আমার ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি সরে যান। হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন তিনি যা চান সেটা হবে না। তিনি বলেছিলেন বাবার মতো আমার গায়ে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি জানতাম ওটা বাবার মতো গায়ে হাত রাখা নয়। আমি ওঁর রুম থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসি।'

এখানেই শেষ নয়। ছোটোবেলায় টিউশনের এক শিক্ষকের দ্বারাও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সাক্ষী। তিনি লেখেন, শৈশবেও আমি যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু অনেক দিন ধরে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। ভেবেছিলাম আমারই দোষ। আমার টিউশন শিক্ষক আমাকে হয়রানি করতেন। তিনি আমাকে ক্লাসের জন্য তাঁর জায়গায় ডেকে পাঠাতেন অদ্ভুত সময়ে। কখনও কখনও আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করতেন। আমি ক্লাসে যেতে ভয় পেতাম। কিন্তু মাকে কিছুই বলতে পারিনি।"

তিনি লেখেন, "পরে মা যখন জানতে পারেন, মা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ব্রিজ ভূষণের ঘটনাতেও উনি আমার পাশে ছিলেন। আলমাটির ঘটনা আমি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমার বাবা-মা আমাকে সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা আমাকে আমার প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতায় ফোকাস করতে বলেছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ যে আমাকে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন তাঁরা।"

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in