কুস্তিগীরদের ট্রায়াল বিতর্কে মুখ খুললেন সাক্ষী মালিক। কার্যত ভীনেশ ফোগত ও বজরঙ পুনিয়ার নাম না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করলেন তিনি। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
সাক্ষী মালিক বলেন, 'সরকারের তরফ থেকে আমাদের ট্রায়ালের কথা বলা হয়েছিল। আমাদের দাবি ছিল ১০ অগাস্টের পর ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হোক। সরকার অনুমতি দেওয়ায় বিদেশে প্রস্তুতির জন্যও এসেছিলাম। কিন্তু দেখলাম দুজন কুস্তিগীরকে ট্রায়াল ছাড়াই সুযোগ দেওয়া হয়েছে'।
তিনি আরও বলেন, 'আমাকেও বলা হয়েছিল মেইল করতে। আমারও নাকি বিচার করা হবে। কিন্তু আমি না করে দিই। আমি এর বিরোধী। এইভাবে কোনো প্রতিযোগিতায় আমি ট্রায়াল ছাড়া যাইনি, যেতে চাইনা, আর যাবও না। আমি চাই স্বচ্ছ নির্বাচন করা হোক। সবাই ন্যায় বিচার পাক'।
এই সাক্ষী মালিক, ভীনেশ ফোগত ও বজরঙ পুনিয়াকে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-র বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়তে দেখেছিল গোটা দেশ। তাহলে কি কুস্তিগীরদের ঐক্যের মধ্যেই ফাটল ধরলো? সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, অস্বস্তি বাড়লো কুস্তিগীর ভীনেশ ফোগত ও বজরঙ পুনিয়ার। তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল উপেক্ষা করেই এশিয়ান গেমসে কোয়ালিফাই করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। শুক্রবার শুনানি চলাকালীন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মনিয়াম প্রসাদ বলেন, আদালতের কাজ কে ভালো খেলোয়াড় তা খোঁজা নয়। আদালতের কাজ হলো সঠিক প্রক্রিয়ায় মান্যতা দেওয়া হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা। আগামী ২২ জুলাই এই বিষয়ে আদালত নির্দেশ দেবে।
প্রসঙ্গত, ভীনেশ ফোগত ও বজরঙ পুনিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এশিয়ান গেমসে সুযোগ পাওয়ার অভিযোগ আনেন দুই তরুণ কুস্তিগীর। তাঁদের অভিযোগ, এশিয়ান গেমসে সুযোগ পাওয়ার জন্য ট্রায়াল দিতে হয়। ভীনেশ এবং বজরং ট্রায়াল ছাড়াই সরাসরি সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে আগামী ২২ ও ২৩ জুলাই ট্রায়ালের দিন ধার্য করা হয়েছে। একই যাত্রায় পৃথক ফল হয় কীভাবে?
আদালতে মামলা করেছিলেন অন্তিম পানঘল এবং সুজীত কলকল। মামলাকারীরা আদালতে জানান, সারা বছর একটি প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করেননি দেশের দুই তারকা কুস্তিগীর। তারপরও গত মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাশোসিয়েশন-র অ্যাড-হক কমিটি ভীনেশ (৫৩ কেজি) ও বজরঙকে (৬৫ কেজি) বিনা ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছে। তাঁদের ছাড়পত্র বাতিল করতে হবে। অ্যাড-হক কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন