কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সঞ্জয় সিং। যিনি প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং-র ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। সঞ্জয় সিং সভাপতি হওয়ার বিরুদ্ধেরি সুর চড়িয়েছেন সাক্ষী সহ একাধিক কুস্তিগীর।
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদ পূরণের জন্য নির্বাচন ছিল। সঞ্জয় সিং এবং কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদকজয়ী অনিতা শিওরান সভাআপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ৪৭টি ভোটের মধ্যে ৪০টি ভোট পান সঞ্জয় সিং। বাকি ৭টি পান অনিতা। এরপরই একের পর এক কুস্তিগির ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
সাক্ষী মালিক বলেন, "এই ফলাফলে একদমই খুশি নই। আমরা চেয়েছিলাম কুস্তি ফেডারেশনের দায়িত্বে মহিলা কেউ আসুক। কিন্তু তা হলো না। সঞ্জয় সিং যদি ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ হন এবং তাঁর সমস্ত কাজে সঙ্গ দেন তাহলে আমি কুস্তি ছেড়ে দেব"।
বজরং পুনিয়া বলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকার আমাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি। আমাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের যোগ নেই, আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। সত্যের জন্য লড়াই করেছিলাম। কিন্তু ব্রিভূষণের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই সভাপতি হলেন"।
সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল দেখে হতাশ হয়েছেন আরেক তারকা কুস্তিগীর ভীনেশ ফোগটও। তিনি বলেন, "দেশে কীভাবে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে তার কোনো সমাধানই খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকারে। আমরা কোথায় যাবো কী করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। সঞ্জয় সিং সভাপতি হওয়ায় ফের মহিলা কুস্তিগিররা নির্যাতনের শিকার হবে"।
ব্রিজ ভূষণ অবশ্য কুস্তিগীরদের অভিযোগে গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, 'নতুন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ফের কুস্তি প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এই জয়ের জন্য ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন (WFI)-র সেক্রেটরিকে বেশি কৃতিত্ব দিতে চাই'।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি সাংসদ তথা তৎকালীন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে পথে নেমেছিলেন সাক্ষী, ভীনেশ এবং বজরংরা। দেশজুড়ে সেই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল। সভাপতি পদ থেকে সরতে হয়েছিল ব্রিজ ভূষণকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন