মহিলা স্টাফকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট পেলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস। গত ২৫ এপ্রিল কুশলের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের প্রাক্তন মালিক রঞ্জিত বাজাজ। শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগ খারিজ করলেন এআইএফএফ-এর ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ। কুশল দাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অসত্য এবং কাল্পনিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ফেডারেশনের মহিলা কর্মীদের সুযোগ নিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে কুশল দাসের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে অভিযোগ এনেছিলেন রঞ্জিত বাজাজ। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের স্বার্থে ভারতীয় মহিলা দলের সিনিয়র ম্যানেজার ইন্দু চৌধুরী, লীগ সিইও সুনন্দ ধর থেকে শুরু করে ইন্টারন্যাল কমিটির প্রধান শান্তা গোপীনাথকেও একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ফেডারেশনের ইন্টারন্যাল কমিটির প্রিসাইডিং অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কুশল দাসকে ক্লিনচিট দেন জাভেদ সিরাজ।
এআইএফএফ-এর ইন্টিগ্রিটি অফিসার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কুশল দাস নির্দোষ। সিরাজ যে রিপোর্টটি জমা করেছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন তদন্ত চলাকালীন কুশল দাসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে সকলেই জানিয়েছেন তারা কেউ কখনও এমন অভিযোগ পাননি অতীতে। ২০১১-১৫ পর্যন্ত কাজ করেছেন কর্নেল মেহেতা। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর সময়কালে কখনও তিনি এমন অভিযোগ পাননি। এছাড়াও অন্যান্য প্রিসাইডিং অফিসাররাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাঁরা অতীতে কখনও কুশলের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ পাননি।
২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারীর একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে কুশল দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের প্রাক্তন মালিক রঞ্জিত বাজাজ। তবে সেই মনগড়া অভিযোগ থেকে কুশল দাসকে ক্লিনচিট দিলেন ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন