বিসিসিআই-এর দুর্নীতি-দমন শাখার প্রধান ছিলেন নীরজ কুমার। সেই প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বইয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুর্নীতি রোধের কোনো প্রচেষ্টাই বোর্ডের মধ্যে ছিল না। বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলেও অন্যান্য সদস্যরা কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
নীরজ যে সময়ের কথা বলছেন, ওই সময় বিসিসিআই-এর সিইও ছিলেন রাহুল জোহরি। তাঁর বিরুদ্ধেই ওঠে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। কিন্তু বিনোদ রাইয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স এতে কোনোরকম সময় খরচ করেনি। বিনোদ রাই দুর্নীতি-দমন কমিটির কোনও রিপোর্টই পাত্তা দিতেন না বলে জানান নীরজ।
জোহরির বিরুদ্ধে আসা যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে নীরজ লিখেছেন, "সিইও-র বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ যে ভাবে সামলেছিলেন বিনোদ রাই, তাতে দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই আইএএসদের উপরে বিশ্বাস উঠে যাবে। কিন্তু তিনি কেন সেই কাজ করেছিলেন? শুনেছি জোহরি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর খুব কাছের লোক ছিলেন। সেই মন্ত্রী নাক গলাতেন বোর্ডের কাজেও। তার জন্যেই কি জোহরিকে রক্ষা করা হয়েছে?"
এমনকি ২০১৮ সালে পুনরায় জোহরিকে সিইওর পদে বসানো হয়। তখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত বিষয়কেই গুজব বলে উড়িয়ে দেয় বোর্ড।
শুধু তাই নয়। একাধিক বেআইনি লীগ, ম্যাচ গড়াপেটার মতো বিষয়েও বোর্ড আগ্রহ দেখায়নি। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং গুজরাট লায়ন্সের ম্যাচে ফিক্সারদের কথা অনুযায়ী পিচ জল দিয়ে ভেজানো হয়েছিল। রাজস্থানে একটি বেআইনি লীগের খবর বোর্ড জানতে পারলেও, রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার সহ-সভাপতি এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই লীগের আয়োজক হওয়ায় বোর্ড এই টুর্নামেন্টের বিরুদ্ধে কোনোরকম পদক্ষেপ নেয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন