বিরাট বিতর্কে এবার মুখ খুললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার সৌরভ জানিয়েছেন যে বিতর্কের তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলির বোমা ফাটানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সৌরভের বাড়ির সামনে ভিড় জমে সাংবাদিকদের। দুপুর নাগাদ সাংবাদিকদের নাগালে আসেন বিসিসিআই সভাপতি। বিরাট বিতর্কে দাদা বলেন, "এটি খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। বোর্ড যা ব্যবস্থা নেওয়ার সঠিক সময়েই নেবে।"
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি, দুজনের কথার মধ্যে যে অসঙ্গতি রয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট। একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব হারানোর পর বুধবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বসেন কোহলি। যেখানে বোর্ড প্রেসিডেন্টের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিরাট জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব না ছাড়ার অনুরোধ কেউই করেননি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল ঘোষণার ৯০ মিনিট আগে তাঁকে ফোন করে নির্বাচকরা জানান তাঁকে ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হচ্ছে।
বোর্ড সভাপতি সৌরভ অবশ্য বলেছিলেন অবশ্য অন্য কথা। তিনি বলেছিলেন, বিরাটকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো এবং ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলো বোর্ড। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে যা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বিরাট।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট যে বোমা ফাটিয়েছেন তাতে ফুঁসে উঠেছে ভারতের ক্রিকেট জগত। বোর্ড সভাপতি সৌরভের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে কে ঠিক আর কে ভুল তা স্পষ্ট নয়। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কোহলিকে না জানিয়ে কিছুই হয়নি। সেপ্টেম্বরে বিরাটকে জানানো হয়েছিলো টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য। বিরাট অবশ্য এদিন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছেন। এখন বোর্ডের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কবে এই জলঘোলা কাটানো হয় তার জন্য অস্থির দেশের ক্রিকেট জগৎ।
বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাপতি সৌরভ জানালেন বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বোর্ড সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। নিজে কিছুই মন্তব্য করতে চাননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন