শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড'কে বরখাস্ত করেছে আইসিসি। শ্রীলঙ্কান বোর্ডে সে দেশের সরকারের হস্তক্ষেপকে প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে আইসিসি।
শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিল আইসিসি। এরপরই একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়ে দেয়, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড নিয়ম ভঙ্গ করেছে। আইসিসি'র সদস্য হিসেবে তাদের স্বাধীন ভাবে কাজ করার কথা। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। আগামী ২১ নভেম্বর এই বিষয়টি নিয়ে ফের বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তাদের পক্ষ থেকে।
তবে এই নিষিদ্ধকরণের সময়সীমা যদি বাড়ানো হয় সে ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়বে ক্রিকেটারদের। কারণ, এই তকমা নামের পাশ থেকে না উঠলে আইসিসি আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না শ্রীলঙ্কা।
দিন কয়েক আগেই শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রনসিং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড'কে বরখাস্ত করেন। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন বোর্ডের প্রধান শাম্মি সিলভা। তাঁর অভিযোগ ছিল, নিয়ম ভেঙে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। শাম্মি'র আবেদনের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই শুনানি শুরু হয়েছে। তবে এই আবহে আইসিসি'র পক্ষ থেকে গোটা বোর্ড'কে বরখাস্ত করায় পুরো বিষয়টি প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে ভারত এবং পাক ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে কি সরকারি হস্তক্ষেপ হয় না? ভারতে যেমন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে। আর ভারত-পাক দুই দেশের সিরিজ হবে কিনা সেটা ঠিক করে দেয় ভারতের সরকার। একইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যেই হোক না কেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাই পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা চলে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থেকে সরে যাওয়ার পরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ রামিজ রাজা কে সরে যেতে হয়। তাই ভারত এবং পাক ক্রিকেট বোর্ড নিয়েও এই প্রশ্ন ওঠা উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন