তিনি বরাবরই অপ্রিয় সত্যি কথা বলে দেন। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে একাধিকবার। এবার বাংলার ৩ প্রধানের কর্তাদের রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রকাশ্যে সমর্থন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য।
ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল ফুটবলার ও কোচ সুব্রত ভট্টাচাৰ্য। বাংলার ৩ প্রধানের কর্মকর্তাদের তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। পিপলস রিপোর্টারকে তিনি জানান, 'এই জিনিস তো ঘটা উচিত নয়। এটা ইচ্ছা করে ৩ দলের কর্মকর্তারা করছেন। সমর্থকদের উচিত এবারে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা। কেনো ক্লাবের মধ্যে রাজনীতি হবে?'
তিনি আরও বলেন, 'ধীরেন দা (ধীরেন দে, প্রাক্তন মোহনবাগান সচিব) যখন দায়িত্বে ছিলেন সেই সময় তো হয়নি। তখন রাজনীতির লোকেরা ক্লাবে আসতো ঠিকই। ফুটবল দেখত, চলে যেত। কিন্তু কর্মকর্তাদের ভোটের ময়দানে নেমে প্রচার করতে হয়নি।'
পাশাপাশি আইএফএ-র ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'আইএফএ বাংলার ফুটবল শেষ করে দিচ্ছে। অযোগ্যদের মাথায় বসিয়ে রেখেছে আইএফএ। সন্তোষ ট্রফিতে বিপর্যয়। আমরা যখন খেলতাম বাংলা নামলেই চ্যাম্পিয়ন হত। পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি আইএফএতে বহুদিন। সেই কারণে ফুটবল নষ্ট হয়েছে। আইএফএর এই প্রচারে আমি একদম অবাক নই। কখনও প্রদূত দত্ত বা তার আগের কর্তারা এমন করতেন না। কেনোই বা করবেন। একটা স্বশাসিত সংস্থার এটা কাজ নাকি?'
প্রসঙ্গত, আসন্ন নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে'র হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিতে দেখা যায় মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং মহামেডান স্পোর্টিং কর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিনকে। সেই তালিকায় ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফেসবুকে সেই ভিডিও বার্তা পোস্ট করার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন