একইদিনে ৭৩ এবং ৭৪ তম আন্তর্জাতিক গোল। আর এই জোড়া গোলেই ভারতের সুনীল ছেত্রী পেছনে ফেলে দিলেন ৬ বারের ব্যালন ডি অ্যর জ্যয়ী আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসিকে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনও সক্রিয়, এরকম ফুটবলারদের তালিকায় এখন ১০৩ গোল নিয়ে প্রথম স্থানে আছেন পর্তুগীজ সেনসেশন ক্রিশিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁর পরেই ৭৪ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারতের সুনীল ছেত্রী। তৃতীয় স্থানে লিওনেল মেসি। যার সংগ্রহে ৭২ গোল।
এদিন সুনীল ছেত্রীর এই অনন্য কৃতিত্বের পরেই ইন্ডিয়ান ফুটবল টিমের পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় অভিনন্দন জানানো হয় সুনীল ছেত্রীকে। ১১৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭৪ গোল করা ভারতীয় ফুটবলারকে নিয়ে ট্যুইট করে ফিফাও।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয় – তিনি এখন মেসির থেকেও আগে। সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোল ব্লু টাইগারদের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ২-০ গোলে জয় এনে দিয়েছে এবং তাঁকে তাঁর ৭৪ তম গোলে পৌঁছে দিয়েছে। এখন তিনি লিওনেল মেসির আগে।
নিজের গোলসংখ্যা বাড়ানোর জন্য সুনীল ছেত্রীর জন্য সামনেই আছে বড়ো সুযোগ। আগামী সপ্তাহে ১৫ জুন বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারত মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। তার আগে আগামী ১৩ জুন কোপা আমেরিকা কাপে মেসি মুখোমুখি হবেন ব্রাজিলের। তাঁর সামনেও সুযোগ থাকছে গোল সংখ্যা বাড়ানোর। দৌড়ে আছেন ইউএই-র আলি মাবখুতও। তাঁর গোলসংখ্যা এই মুহূর্তে ৭৩।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিশ্বের প্রথম দশ গোলদাতার তালিকা -
প্রথম ইরানের আলি দাই। ১৪৯ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১০৯।
দ্বিতীয় পর্তুগালের ক্রিশিয়ানো রোনাল্ডো। ১৭৪ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১০৩।
তৃতীয় মালয়েশিয়ার মোক্তার দাহারি। ১৪২ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৮৯।
চতুর্থ হাঙ্গেরীর পুসকাস। ৮৫ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৮৪।
পঞ্চম জাম্বিয়ার গডফ্রে চাইতালু। ১১১ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৭৯।
ষষ্ঠ ইরাকের হুসেন সইদ। ১৩৭ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৭৮।
সপ্তম ব্রাজিলের পেলে। ৯২ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৭৭।
অষ্টম জাপানের কুনিশিগে কামামোতো। ৭৬ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৭৫।
নবম কুয়েতের বাসার আবদুল্লা। ১৩৪ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৭৫।
দশম ভারতের সুনীল ছেত্রী। ১১৭ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৭৪।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন