ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৯২টি গোল করেছেন সুনীল। ৩৮ বছর বয়সেও তরুণ সতীর্থদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছেন সমানে। এশিয়ার সেরা আন্তর্দেশীয় ফুটবলের আসর এশিয়ান কাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তাঁর গোলে যে কত ম্যাচ জিতেছে ভারত, তার সঠিক হিসেব করা কঠিন। কিন্তু তাঁর এই ৯২টি গোলের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? নিজেই সেই কথা জানালেন।
সুনীল বলেন, “কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে গোল (২০১৭ সালে) সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ”। সেই ম্যাচে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠা জেজে লালপেখলুয়ার পাসে বক্সের মাথা থেকে সোজ গোলে শট নেন সুনীল। সেই গোলেই ভারত সে দিন বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচ জিতে নেয় এবং তাদের ২০১৯-র এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার রাস্তা সহজ হয়ে ওঠে।
সুনীল ছেত্রী সেই গোলের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “তখন জেজের পক্ষে স্কুপ করে পাস দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ওই ভাবে স্কুপ করা মোটেই সোজা নয়। এটা সবাই ঠিকমতো রপ্ত করতে পারে না। ওই রকম একটা পাস দিয়ে একেবারে আমার সামনে বল রাখাটা ছিল বেশ কঠিন”।
কিরগিজ রিপাবলিককে হারানোটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সে দিন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে সুনীল বলেন, “সেই গোলটার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সে জন্যই আমি এই গোলটাকেই বেছেছি। কারণ, ওই ম্যাচে ওদের হারাতে না পারলে হয়তো আমাদের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠাই হতো না। যে ভাবে আমরা সেই ম্যাচে নিজেদের রক্ষণ সামলেছিলাম, তার ওপর ওই গোলটা ছিল সোনায় সোহাগা”।
তিনি আরও বলেন, সেরা মুহূর্তের কথা যদি বলেন, তা হলে বলবো এক নয় একাধিক রয়েছে। ২০১৬-র এএফসি কাপের মূলপর্বে ওঠার মুহূর্তটা যেমন। সে বার আমরা শুরুতেই এয়ারফোর্স ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলি। তবে দুঃখজনক ভাবে হেরে যাই। এশিয়ান কাপ ২০১৯-এ থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা আগুনে ফর্মে ছিলাম। থাপা, উদান্ত, আশিক, ঝিঙ্গনরা একেকটা আগুনের ফুলকি হয়ে ওঠে”।
পাশাপাশি সুনীল বলেন, পরপর দু’বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা, তাও সহজেই, সে ছিল অভাবনীয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচও ভোলার নয়। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যে আর এগুলো নিয়ে আলাদা করে ভাবতে বসি না। হয়তো আরও কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত আছে, যেগুলো চিরকাল মনে থাকবে”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন