ব্যর্থ দুই ঋত্বিকের লড়াকু ইনিংস। কর্ণাটকের কাছে হেরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির অভিযান শেষ হলো বাংলার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কর্ণাটককে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়রা। এদিনও সুযোগ ছিলো মনীশ পান্ডের কর্ণাটককে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়ার। তবে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে একতরফা সুপার ওভারে বাজিমাৎ করে কর্ণাটক। সুপার ওভার জিতে মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে যান মণীশ পান্ডে, করুণ নায়াররা।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে কর্ণাটক। করুণ নায়ার ৪ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ২৯ বলে ৫৫* রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া কর্নাটকের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ওপেনার রোহন কদম(৩০)এবং অধিনায়ক মনীশ পান্ডে(২৯)।
বাংলার হয়ে এই ম্যাচে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, সায়ন ঘোষ, ঋত্বিক চ্যাটার্জি এবং শাহবাজ আহমেদ।
কর্ণাটকের দেওয়া ১৬১ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে শুরুতেই অভিষেক দাস রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শ্রীবৎস গোস্বামী ও ঋত্বিক চ্যাটার্জি। গোস্বামী ১০ বলে ২২ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ঋত্বিক চ্যাটার্জি ৪০ বলে ৫১ রানের বড় ইনিংস খেলেন। তবে মিডিল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাকে ঠেলে দেয় খাদের কিনারায়।
শেষ ওভারে বাংলার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ২০ রান। হাতে ছিলো ৩ উইকেট। ঋত্বিক চৌধুরীর ঝড়ো ইনিংসে ৫ বলেই ১৯ রান সংগ্রহ করে ফেলে বাংলা। তবে শেষ বলে জয়সূচক এক রান নিতে গিয়েই রান আউট হয়ে যান আকাশ দীপ। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। ঋত্বিক চৌধুরী অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩৬* রানে।
সুপার ওভারে একতরফা ভাবে ম্যাচ জিতে নেয় কর্ণাটক। বাংলা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ বলেই দু উইকেট হারিয়ে ফেলে। সংগ্রহ করে মাত্র ৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মণীশ পান্ডে মুকেশ কুমারের প্রথম বলে ২ রান নেন। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন অধিনায়ক মণীশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন