টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে। অস্ট্রেলিয়ার ৭টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে ১৬ দলের ৪৫ টি ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ফর্ম্যাটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের অজিভূমে পা রাখছে ক্রিকেট খেলুড়ে সব কটি শীর্ষ দেশ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যতই ব্যাটারদের খেলা হোক না কেন, বোলারদের দাপটে যে কোনো ম্যাচের ছবি পাল্টে যেতে পারে। গত সাত আসরে বল হাতে মুগ্ধ করেছেন অনেক ক্রিকেটার। বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকারিদের।
১. সাকিব আল হাসান - টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক এবং বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩১ ম্যাচের ৩০ ইনিংসে বল হাতে ৪১ টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তাঁর গড় ১৭.২৯ এবং ইকোনমি রেট ৬.৪৩। তিন বার নিয়েছেন ৪ টি করে উইকেট। ৯ রানে ৪ উইকেট সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার সাকিবের।
২. শাহিদ আফ্রিদি - এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। ৩৪ ম্যাচের ৩৪ ইনিংসে মোট ৩৯ টি উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। প্রাক্তন এই পাক অলরাউন্ডারের গড় ছিল ২৩.২৫ এবং ইকোনমি ছিল ৬.৭১। ১১ রানে ৪ উইকেট আফ্রিদির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার।
৩. লাসিথ মালিঙ্গা - টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেন লঙ্কান স্পিড স্টার লাসিথ মালিঙ্গা। ৩১ ম্যাচের ৩১ ইনিংসে বল করে মালিঙ্গা নিয়েছেন ৩৮ টি উইকেট। প্রাক্তন এই শ্রীলঙ্কান পেসারের গড় ছিল ২০.০৭ এবং ইকোনমি রেট ৭.৪৩। ৩১ রানে ৫ উইকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মালিঙ্গার সেরা বোলিং ফিগার।
৪. সায়েদ আজমল - এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার সায়েদ আজমল। ২৩ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে আজমল নিয়েছেন ৩৬ টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর গড় ১৬.৮৬ এবং ইকোনমি ৬.৭৯। ১৯ রানে ৪ উইকেট, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে আজমলের সেরা বোলিং ফিগার।
৫. অজন্তা মেন্ডিস এবং উমর গুল - টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শীর্ষ পাঁচ উইকেট শিকারিদের তালিকার পঞ্চম স্থানে প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান তারকা অজন্তা মেন্ডিসের সাথে আসন ভাগ করে নিয়েছেন পাক পেসার উমর গুল। মাত্র ২১ ম্যাচ খেলে ৩৫ টি উইকেট এই প্রতিযোগীতায় নিজের ঝুলিতে ভরেছেন মেন্ডিস।
লঙ্কান ক্রিকেটারের গড় ছিল ১৫.০২ এবং ইকোনমি ছিল ৬.৭৯। মাত্র ৮ রানে ৬ উইকেট মেন্ডিসের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কেরিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। অন্যদিকে ২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে মেন্ডিসের সমান উইকেট নিয়েছেন পাক পেসার উমর গুলও। তাঁর গড় ছিল ১৭.২৫ এবং ইকোনমি ৭.৩০। ৬ রানে পাঁচ উইকেট উমরের সেরা বোলিং ফিগার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন