শেষ হলো বাংলাদেশের সফর। ভারতের সাথে সুপার-১২-এর গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনালে উঠলো পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হারে লাইফ লাইন পেয়েছিলো দুই দল। শাহিন আফ্রিদির আগুনে বোলিংএর পর ব্যাট হাতে মহম্মদ হ্যারিসের ঝলকে সহজ জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোটা একপ্রকার স্বপ্নের মতো। প্রথমে ভারত ও পরে জিম্বাবোয়ের কাছে হারায় একপ্রকার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাবর আজমদের। সেমিফাইনালের রাস্তা একপ্রকার বন্ধ বলেই মেনে নিয়েছিলেন পাক প্রাক্তনীরা। তবে লড়াই জারি ছিল। বিশেষ করে বৃষ্টির মরশুমে অস্ট্রেলিয়ায় যে কোনো অঘটনের জন্য প্রস্তুত ছিল প্রতিটি দল। গ্রুপ পর্বের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর হাসি এলো পাক দলের মুখে। অ্যাডিলেড ওভালে লো স্কোরিং ম্যাচে ১১ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটে জয় অর্জন করে নিয়েছেন বাবর আজমরা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন ১২৭ রানেই বাঁধা পড়ে বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি একপ্রকার আগুন ঝরান অ্যাডিলেডের বাইশ গজে। চার ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে শাহিন নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁর শিকার হয়ে ফিরেছেন লিটন দাস(১০), মোসাদ্দেক হোসেন(৫), নুরুল হাসান(০), তাসকিন আহমেদ। শাহিনের পাশাপাশি দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছেন সাদাব-ইফতিখাররাও।
বাংলাদেশকে একা হাতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শান্তোকে ফিরিয়েছেন ইফতিখার। ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন শান্তো।বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মরণ বাঁচান ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সাকিবকে ফিরিয়েছেন সাদাব খান। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে টাইগার্সরা।
লক্ষ্যমাত্রা ছিল সহজ। তাড়া করতে বিশেষ কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হলো না পাকিস্তানকে। ওপেনিং জুটিতে বাবর-রিজওয়ান ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দেন। বাবর(২৫), রিজওয়ান(৩২) ফিরে যাওয়ার পর মহম্মদ হারিসের ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে ম্যাচের বাইরে ঠেলে দেয়। সেইসঙ্গে ১৪ বলে ২৪* রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শন মাসুদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন