বিশ্বকাপে বড় অঘটন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় ঘন্টা বাজালো নেদারল্যান্ডস। জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতো প্রোটিয়াদের। তবে অ্যাডিলেড ওভালে ডাচদের কাছে পর্যুদস্ত হতে হলো টেম্বা বাভুমাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার হারে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে না নেমেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ইন্ডিয়া। সেইসঙ্গে লাইফ লাইন পেয়েছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশও। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচ এখন 'ভার্চুয়াল' কোয়ার্টার ফাইনাল।
ওভালে জিতলেই সেমিফাইনাল পাকা হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রোটিয়াদের জয় সহজেই আসবে বলে অনুমান করেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। অঘটন ঘটালো ডাচরা। দক্ষিণ আফ্রিকা আরও একবার বিশ্বকাপের 'চোকার্স' তকমা পেলো। অ্যাডিলেডে ডাচদের দেওয়া ১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারলেন না বাভুমা বাহিনী। অবিশ্বাস্য এক জয় নিয়ে প্রোটিয়াদের চোখে জল এনে দিল নেদারল্যান্ডস।
টসে জিতে এই ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডস প্রথম দফায় ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে। ডাচদের হয়ে এই ম্যাচে টপ অর্ডারের চার ব্যাটার ভালো ইনিংস খেলে যান। ওপেনার মাইবার্গের ৩০ বলে ৩৭ রান এবং ম্যাক্স ও'ডডের ৩১ বলে ২৯ রানের পর টম কুপারের ১৯ বলে ৩৫ রান এবং আকেরম্যানের ২৬ বলে ৪১ রানের ক্যামিওতে লড়াইয়ের স্কোর দাঁড় করায় ডাচরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডাচ বোলারদের সামনে নাকানি-চোবানি খেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না কোনো ব্যাটার। সর্বোচ্চ রান করেন রাইলি রুশো(২৫)। অধিনায়ক বাভুমা করেন ১৩ রান। ডি'কক করেন ২০ রান। এইডেন মার্করাম(১৭), ডেভিড মিলার(১৭), হেনরি ক্লাসেনরা(২১) সকলেই ব্যর্থ হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানেই থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে এই ম্যাচে দু' ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট নিয়েছেন ব্র্যান্ডন গ্লোভার।দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফ্রেড ক্লাসেন, বাস ডি লেডে। একটি উইকেট এসেছে পল ভ্যান ম্যাকেরনের ঝুলিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন