ব্যর্থ মহম্মদ রিজওয়ান-ফাকর জামানের ব্যাট হাতে অনবদ্য ইনিংস। ব্যর্থ সাহদাব খানের ৪ উইকেট। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে সমস্ত রং কেড়ে নিলেন মার্কাস স্টয়নিস-ম্যাথু ওয়েড। স্টয়নিস-ওয়েডের ৪১ বলে ৮১* রানের বিধ্বংসী জুটিতে ভর করে এক ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিরা।
দুবাইয়ে টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে এদিনও দুরন্ত শুরু করেন দুই পাক ওপেনার বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান। এই জুটি প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৭১ রান। বাবর আজম ৩৯ রান করে ফিরে যাওয়ার আগে বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে দ্রুততম ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
বাবর ফিরে যাওয়ার পর ফাকর জামান এবং মহম্মদ রিজওয়ান পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যান। রিজওয়ান ৩ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৫২ বলে ৬৭ রান করেন। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে ১০০০ রান করার রেকর্ড গড়লেন রিজওয়ান(১০৩৩)। ফাকর জামান ৩২ বলে ৫৫* রানে অপরাজিত থাকেন। রিজওয়ান-ফাকর জুটির দৌলতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দফায় ১৭৭ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ শাহীন আফ্রিদির শিকার হন রানের খাতা না খুলেই। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সাহদাব খান অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দেন। মিচেল মার্শ(২৮),স্টিভ স্মিথ(৫),ডেভিড ওয়ার্নার(৪৯),গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের(৭)প্রত্যেকেই সাহদাব খানের শিকার হন।
৯৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এরপর ত্রাতা হয়ে ওঠেন মার্কাস স্টয়নিস এবং ম্যাথু ওয়েড। স্টয়নিস ৩১ বলে ৪০* রানে অপরাজিত থাকেন এবং ওয়েড মাত্র ১৭ বলে ৪১* রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন। এক ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় অর্জন করে ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন