মরণ-বাঁচন ম্যাচে ওমানকে ২৬ রানে হারিয়ে সুপার ১২-এর টিকিটের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সাকিব ও নায়েম ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটার চমক দেখাতে না পারলেও বল হাতে ম্যাচকে নিজেদের অধীনে করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের হয়ে এই ম্যাচে ৪ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং ৩ টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। টাইগারদের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় দফায় ব্যাট হাতে অবশ্য জতিন্দর সিং ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশের। দ্রুত গতিতে রান তুলেছিলেন এই ওমান ওপেনার। তবে যতিন্দরকে ৪০ রানে বেঁধে ফেলার সাথে সাথেই ম্যাচের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান মহম্মদউল্লাহরা। যতিন্দর ছাড়া দুই অঙ্কের স্কোর বলতে ওমানের হয়ে করেন কাশ্যপ প্রজাপতি (২১), জিশান মাকসুদ (১২), মহম্মদ নদীম (১৪*)।
মঙ্গলবার আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সাকিব-মহম্মদউল্লাহরা। শুরুতেই লিটন দাস (৬), মেহেদী হাসান (০) ফিরে যান।
প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান নায়েম-সাকিব জুটি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২৯ বলে ৪২ রান করেন। ওপেনার নায়েম ৩ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৫০ বলে ৬৪ রান করেন। তবে এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পরে আর কোনো ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
টাইগারদের অধিনায়ক মহম্মদউল্লাহ ১৭ রান করলেও এরপর আর কোনো ক্রিকেটার দুই অঙ্কের স্কোর সংগ্রহ করতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৩ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল।
ওমানের হয়ে এই ম্যাচে বল হাতে দাপট দেখান বিলাল খান, ফেয়াজ বাট। বিলাল ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন ৩ টি উইকেট। পাশাপাশি ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট শিকার করেছেন ফেয়াজ। এছাড়াও জোড়া উইকেট নিয়েছেন কালিমুল্লাহ এবং একটি উইকেট নিয়েছেন জিশান মাকসুদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন