সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে ব্রাত্য ওয়ার্নারই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মুখ্য কারিগর। টুর্নামেন্ট সেরা ওয়ার্নার ব্যাট হাতেই দিলেন তাঁকে নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব।
এক মাস আগেই হায়দরাবাদের প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। প্রস্তুতি ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নজর কাড়তে পারেননি। তবে দল পাশে দাঁড়িয়েছিলো অজি তারকার। ম্যাচ উইনারের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েলরা। মূলপর্বের খেলা শুরু হতেই চেনা ছন্দ ফিরে পেলেন বাঁ হাতি অজি ওপেনার। গতকাল ফাইনালে অনবদ্য অর্ধশতরান করে দলকে এনে দিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম 'সোনার হরিণ'।
বিশ্বকাপ জয়ের পর অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ওয়ার্নার প্রসঙ্গে জানান, "বিশ্বাসই করতে পারিনা কয়েক সপ্তাহ আগে মানুষ বলেছিলো ও (ওয়ার্নার) ফুরিয়ে গেছে। এই সময়েই ও সেরা ক্রিকেটটা খেলেছে। এটা আসলে ভাল্লুকটা খোঁচা দেওয়ার মতো।"
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অজিদের হয়ে ৭ ম্যাচে ৪৬.১৬ গড়ে রান করেছেন ২৮৯। সুপার ১২-এর প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অফ ফর্মে থাকা ওয়ার্নার ১৪ রান করেন। পরের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলেন ৬৫ রানের ঝাঁ চকচকে ইনিংস। ইংল্যান্ড (১) এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (১৮) প্রভাব দেখাতে না পারলেও গ্রুপের শেষ ম্যাচে ৮৯* রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেন ৪৯ রান এবং মেগা ফাইনালে ৫৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে গড়ে দেন জয়ের মঞ্চ।
ওয়ার্নার বলেন, "প্রস্তুতি ম্যাচে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমার কাছে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নিজের খেলাটা খেলা। শক্ত পিচে বল মারাটাই আমার কাছে মূল লক্ষ্য। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। তবে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়াটা কষ্টের ছিল। দলের প্রত্যেকে অসাধারণ। সাপোর্ট স্টাফ, দল, বাড়ির সমর্থন পেয়েছি। প্রত্যেকের জন্য দর্শনীয় খেলা খেলতে পেরেছি। প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন