অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। আইপিএলের মরশুম শেষের একদিন পরেই মরুদেশে পর্দা উঠলো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যোগ্যতা অর্জনের প্রথম ম্যাচে রবিবার মাঠে নেমেছে টুর্নামেন্টের সহ আয়োজক ওমান। প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিকে তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটে অনবদ্য জয় তুলে নিয়েছে মরুদেশ ওমান।
পাপুয়া নিউগিনির দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে এই ম্যাচে কোনো উইকেটই খোয়াতে হয়নি ওমানকে। দুই ওপেনার জুটি ৩৮ বল হাতে রেখেই দলকে সহজ জয় এনে দেন। ওমানের দুই ওপেনার ব্যাটার জতিন্দর সিং এবং আকিব ইলিয়াস অনবদ্য অর্ধশতরান করেন। জতিন্দর ৭ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৪২ বলে অপরাজিত ৭৩* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। অপর ওপেনার ইলিয়াস ৫ টি বাউন্ডারি এবং ১ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৪৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করে অপরাজিত থাকেন। দুই ওপেনারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয় দিয়েই অভিযান শুরু হয় সহ আয়োজকদের।
আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই ম্যাচে টস জেতে ওমান। সহ আয়োজকরা প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয় বল করার। প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে রবিবার শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে ব্যাক ফুটে চলে যায় পাপুয়া নিউগিনি। ওশিয়ানিয়ার দেশটিকে এই ম্যাচের ফেভারিট ধরা হলেও তারা ওমানের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না। পাপুয়া নিউগিনির দুই ওপেনার টনি উরা এবং লেগা সিয়াকা রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মিডিল অর্ডারে আসাদ ভালা(৫৭) এবং চার্লস আমিনির(৩৭) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের সৌজন্যে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছায় তারা। এই দুই ব্যাটার ছাড়া একমাত্র সেসে বাউ(১৩) দুই অঙ্কের স্কোর সংগ্রহ করেন। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান স্কোর বোর্ডে অঙ্কিত করে পাপুয়া নিউগিনি।
ওমানের হয়ে এই ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন জিশান মাকসুদ। এছাড়াও ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে জোড়া উইকেট নিয়েছেন বিলাল খান। জোড়া উইকেট এসেছে কালিমুল্লাহর ঝুলিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন