দুবাইয়ে ইতিহাস রচনা করলেন বাবর আজম এন্ড কোং। বিশ্বকাপের মঞ্চে আগে ১২ বার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও একবারও ভারতের বিরুদ্ধে জয় অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তান। যার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রয়েছে পাঁচ ম্যাচ। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের বিশ্বযুদ্ধে ষষ্ঠ বারের মুখোমুখিতে শাপ মুক্তি ঘটলো পাকিস্তানের। ভারতের বিরুদ্ধে ছিনিয়ে নিলো জয়। শুধু জয় নয়, ১০ উইকেটে কার্যত ঐতিহাসিক জয় অর্জন করলেন বাবর বাহিনী।
বল হাতে শাহীন আফ্রিদির পর ব্যাট হাতে অনবদ্য ইনিংস খেললেন দুই পাক ওপেনার। বাবর আজমের অধিনায়কোচিত ইনিংস এবং মহম্মদ রিজওয়ানের নিপুণ ব্যাটিং-এর দৌলতে ১৩ বল হাতে রেখেই জয় আসে পাক শিবিরে।
বিরাট বাহিনীর দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে যান বাবর-রিজওয়ান জুটি। দুজনে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই দলকে চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই জয় উপহার দেন। অধিনায়ক বাবর আজম অপরাজিত রয়েছেন ৫২ বলে ৬৮* রানে এবং মহম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত রয়েছেন ৫৫ বলে ৭৯* রানে। এই জুটি ১০৭ বলে ১৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন, যা কিনা পাকিস্তানের হয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। এছাড়া এদিন ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে প্রথম জুটি হিসেবে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে রেকর্ড ৪ টি শতরানের পার্টনারশিপের নিদর্শন রাখেন।
দুবাইয়ে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। আর বল করতে নেমে শুরুতেই দাপট দেখালেন পাক পেসার শাহীন আফ্রিদি। প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মাকে রানের খাতা না খুলতে দিয়েই ড্রেসিংরুমে পাঠান। নিজের দ্বিতীয় এবং ম্যাচের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই লোকেশ রাহুলকে(৩) ক্লিন বোল্ড করে ভারত শিবিরে বড় ধাক্কা দেন শাহীন। মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাক ফুটে চলে যাওয়া ভারতকে কামব্যাক করানোর ইঙ্গিত দিলেও সূর্যকুমার যাদবকে ফিরে যেতে হয় মাত্র ১১ রানেই।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে গভীর খাদে পড়া দলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান স্বয়ং অধিনায়ক। ঋষভ পন্থকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান বিরাট। ঋষভ ৩০ বলে ৩৯ রান করে সাহদাব খানের বলে তার হাতেই ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন। রবীন্দ্র জাদেজা ১৩ রানে ফিরে যান। লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট। তবে লড়াকু অর্ধশতরান করলেও ডেথ ওভারে হাত খোলার আগেই শিকার হন সেই শাহীন আফ্রিদির। ৫ টি বাউন্ডারি এবং ১ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৪৯ বলে ৫৭ রান করেছেন বিরাট কোহলি।
পাকিস্তানের হয়ে এই ম্যাচে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। ৪ ওভারে শাহীন রান দিয়েছেন ৩১। এছাড়াও জোড়া উইকেট নিয়েছেন হাসান আলি। তবে হাসান রান খরচ করেছেন ৪ ওভারে ৪৪। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন সাহদাব খান এবং ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন হ্যারিস রফ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন