রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে মণীশ পান্ডের কর্নাটককে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং রেকর্ড তৃতীয়বার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হলো তামিলনাড়ু। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ছক্কা হাঁকিয়ে বিজয় শঙ্করদের শিরোপা জেতালেন শাহরুখ খান। ম্যাচ সেরা শাহরুখ অপরাজিত রইলেন ১৫ বলে ৩৩* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে।
গতবার বরোদাকে হারিয়ে মুস্তাক আলি ট্রফি ঘরে তুলেছিলো তামিলনাড়ু। এবার প্রতিপক্ষ ছিলো মণীশ পান্ডের কর্ণাটক। ২০১৯-২০ মরশুমে এই কর্ণাটকের কাছেই ফাইনালে হারতে হয় তামিলনাড়ুকে। এই মরশুমে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে সেই হারের মধুর বদলা নিলেন বিজয় শঙ্কররা। এই প্রথমবার সাদা বলের ক্রিকেটে ফাইনালে হারলো কর্ণাটক। ২০০৬-০৭ সালের উদ্বোধনী মরশুমে ফাইনালে পাঞ্জাবকে হারিয়ে এই শিরোপা জিতেছিলো তামিলনাড়ু। এবার টানা দুই মরশুম জিতে তিনটি শিরোপা ঘরে তুললো তারা।
সোমবার দিল্লিতে ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে কর্ণাটককে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় তামিলনাড়ু। প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেন মণীশ পান্ডেরা। কর্ণাটকের হয়ে অভিনব মনোহর সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। প্রভীন দুবে করেন ৩৩ রান। এছাড়া মণীশ পান্ডে(১৩), করুণ নায়ার(১৮), শরথদের(১৬) কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
তামিলনাড়ুর হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন সাই কিশোর। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ ওয়ারিয়র, টি নটরাজন এবং সঞ্জীব যাদব।
কর্ণাটকের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে হরি নিশান্থ এবং জগদীশন দলকে শুরুটা ভালো এনে দেন। হরি ১২ বলে ২৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে রান আউট হয়ে ফিরে যান। এরপর রানের গতি কমতে থাকে। জগদীশন ৪৬ বলে ৪১ রান করেন এবং বিজয় শঙ্কর ২২ বলে করেন ১৮ রান। ১৯ ওভারের শেষে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৬ রান তোলে তামিলনাড়ু। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১৬ রান। প্রতীক জৈনের শেষ ওভারের প্রথম ৫ বলে আসে ১১ রান। শেষ বলে পাঁচ রানের প্রয়োজন হলে ত্রাতা হয়ে ওঠেন শাহরুখ খান। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে করেন চ্যাম্পিয়ন। শাহরুখ ১ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ১৫ বলে ৩৩* রানে অপরাজিত থাকেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন