১৮ বছর ধরে যৌন নিগ্রহ করেছেন টিমের চিকিৎসক ল্যারি নাসার, আদালতে সাক্ষী দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন বাইলস

আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্টিক্স দলের প্রাক্তন চিকিৎসক দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নিগ্রহ করছেন। তারই সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির হয়ে আমেরিকার পুরো ব্যবস্থার উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাইলস।
সিমোন বাইলস
সিমোন বাইলসফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

আদালতে গিয়ে চোখের জলে ভেঙে পড়লেন বিশ্বের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। মানসিক অসুস্থতা দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছে আমেরিকান জিমন্যাস্টকে। তার কারণে টোকিও অলিম্পিক্সের বেশিরভাগ ইভেন্ট থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আদালতে গিয়ে নিজের মানসিক অসুস্থতার কারণ জানিয়েছেন সিমোন।

অভিযোগ উঠেছে আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্টিক্স দলের প্রাক্তন চিকিৎসক ল্যারি নাসার দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নিগ্রহ করছেন। তারই সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বাইলস। অশ্রু বিগলিত চোখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আমেরিকার পুরো ব্যবস্থার উপরেই।

বুধবার সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে সাক্ষী দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন চার বারের অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন বাইলস। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সতীর্থ অ্যালি রাইসম্যান, ম্যাকালা মারোনি এবং ম্যাগি নিকোলস।

মানসিক যন্ত্রণার রেস এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি বাইলস। সাক্ষী দিতে গিয়ে চোখে জল নিয়ে বাইলস জানান, আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা, অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্স সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) নিজেদের ভূমিকা ঠিক মতো পালনই করেনি। আর তার জন্যই জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নির্যাতনের মাত্রাও বেড়েছে। এফবিআই কার্যত চোখ বন্ধ করে ছিলো বলে অভিযোগ করেন বিশ্বসেরা জিমন্যাস্ট।

সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে বাইলস বলেন, "ল্যারি নাসার তো অপরাধীই, ওর পাশাপাশি দোষ দেবো পুরো ব্যবস্থাকে। তাদের জন্যই নাসার দিনের পর দিন এই খারাপ কাজ করে গিয়েছেন। আমাদের জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা এবং অলিম্পিক্স, প্যারালিম্পিক্স সংস্থা নিজেদের কাজটাই ঠিক মতো করেনি। এফবিআই চোখ বন্ধ করে বসেছিল। তারা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করলে নাসার এতদিন ধরে একই অপরাধ করতে পারতো না।"

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in